ঢাকা: দেশের জিডিপিতে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ৯ শতাংশ (বর্তমান) থেকে বাড়িয়ে ২০১৪-‘১৫ অর্থ বছরের মধ্যে ১৪ শতাংশে উন্নীত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) তাগিদ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এক্ষেত্রে আয়কর আদায়ের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে এবং চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে দেশে টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীত করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব।
সূত্রমতে, সভায় আয় করে এনবিআরের প্রবৃদ্ধি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে আব্দুল করিম বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। এর মধ্যে টিআইএনধারীর সংখ্যা ২৮ লাখ। এর মধ্যে রিটার্ন দাখিল করেন ৯ লাখ। আর প্রকৃত করদাতার সংখ্যা মাত্র সাড়ে ৭ লাখ। এছাড়া ট্যাক্স জিডিপির হার ৯ শতাংশ যা উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। ’
তাই রাজস্ব আহরণে শুল্ক, আবগারী ও ভ্যাট খাতের চেয়ে আয়করের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।
এছাড়াও ২০১২ সালের মধ্যে এনবিআরকে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় করা ও উপআঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের কাজে সহায়তার লক্ষে চট্রগ্রাম ও মংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করারও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।
পাশাপাশি বিকল্প উপায়ে হাইকোর্টে ঝুলে থাকা আয়কর সংক্রান্ত ১ হাজার কোটি টাকার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিসহ এনবিআরকে গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষে ১৬টি বিষয়ে এনবিআরকে তাগিদ দেওয়া হয়।
এনবিআর সদস্য বশির উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে সামনে দেশের অর্থনীতির অবস্থা কেমন থাকবে তার ওপর। কারণ বর্তমানে যাদের আয়কর দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তারা ইতিমধ্যেই আয়করের আওতায় এসে পড়েছেন। তাই আগামীতে নতুন টিআইএনধারীর সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার নির্দেশমত টিআইনধারীর সংখ্যা বাড়াতে এনবিআর তৎপর রয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১১