ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

নেপালকে ট্রানজিট দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত, খসড়া চূড়ান্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১০
নেপালকে ট্রানজিট দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত, খসড়া চূড়ান্ত

ঢাকা: নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এ সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়াও চূড়ান্ত হয়েছে।



ঢাকায় দুই দেশের বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের দুইদিনের বৈঠকের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্যসচিব মোহাম্মদ গোলাম হোসেন এ কথা জানান। নেপালের বাণিজ্য ও সরবরাহ সচিব পুরুষোত্তম ওঝা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
 
এতে বলা হয়, দুই দেশের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মহলের অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী বছর  ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চে কাঠমান্ডুতে ট্রানজিট চুক্তি সই হতে পারে।
 
খসড়া অনুযায়ী, নেপালের পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাবান্ধা সীমান্ত থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত চলাচল করবে। যেসকল রুটে এসব পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করবে সেগুলো হচ্ছে বাংলাবান্ধা-পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও-সৈয়দপুর-রংপুর-বগুড়া-নাটোর-দাশুলিয়া-পাকশী-কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ-খুলনা-মংলা।
 
বাণিজ্যসচিব জানান, ১৯৭৬ সালে সম্পাদিত চুক্তির আলোকে নেপালের পণ্যবাহী ট্রাকের বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য কোনো প্রবেশ ফি দিতে হবে না। এছাড়া অন্য সব ধরনের সার্ভিস চার্জই প্রদান করতে হবে। তবে সরকারি অবকাঠামো ব্যবহারে (বিশেষত মংলা বন্দর) সার্ভিস চার্জ ৫০ শতাংশ কম রাখা হবে।
 
দুই দিনের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং এ লক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হওয়া, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা, আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক হ্রাস, পণ্য তালিকা চূড়ান্তকরণ, বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি, ব্যবসায়ীদের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি, রেলওয়ে ও সড়ক যোগাযোগের প্রসার এবং ঢাকা-কাঠমান্ডু সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের ওপর ঐকমত্য হয়।  

বাণিজ্য সচিব বলেছেন, কাঠমান্ডু বৈঠকের আগেই এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে। এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিষয়গুলো চূড়ান্ত করার জন্য দুই দেশের যুগ্ম-সচিব পর্যায়ে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যসচিব জানান, নেপালকে ট্রানজিট প্রদানে বাংলাদেশ সেরকম লাভবান না হলেও কিছু না কিছু লাভ তো হবেই।

তিনি বলেন, নেপাল বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালের সহযোগিতার কথা বাংলাদেশ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। সেই বন্ধুত্বের মর্যাদা স্বরূপ নেপালকে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত হয়ে নেপালের কাঁকরগাছা পর্যন্ত একটি ট্রানজিট প্রস্তাব বাংলাদেশেরও রয়েছে। ভারত সম্মত হলে তখন নেপালও বাংলাদেশকে ট্রানজিট প্রদানে একই ধরনের সহযোগিতা দেবে।
 
নেপালের বাণিজ্যসচিব বলেন, দু’দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের ট্রানজিট ব্যবহারে নেপাল অর্থনৈতিকভাবে অপেক্ষাকৃত বেশি লাভবান হবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৯৪২ ঘন্টা, জুলাই ১৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।