ঢাকা: ‘পুঁজিবাজারে সংঘটিত কারসাজি তদন্তে গঠিত তিন সদস্যের কমিটির বসার জায়গা এখনও ঠিক হয়নি। কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো প্রস্তুত হয়নি।
রোববার কৃষিব্যাংকে নিজ কার্যালয়ে বসে বাংলানিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কমিটির চেয়ারম্যান কৃষিব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী চিঠিতে বলেছিলেন, এসইসি আমাদের অফিসের ব্যবস্থাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে। তারা না করলে এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবো। প্রয়োজনে বিকল্প বসার জায়গা হিসেবে কৃষিব্যাংক অথবা বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অফিসও ব্যবহার করতে পারি। ’
খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে ওই সময়গুলোতে এসইসি, ডিএসই ও সিএসইর প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংগ্রহ করবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্রোকার হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রমেরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে তাদের মতামত নেওয়া হবে। বিশেষ করে, এসইসি সম্প্রতি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ওই সময় বাজারে সেগুলোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হবে। ’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন শেয়ার কেন অতিমূল্যায়িত হলো, তা ডিএসই ও সিএসইর কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইব। বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যাপারে তথ্য নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও বৈঠক করবো। বিশেষ করে যেসব ব্যাংক তাদের আমানতের চেয়ে বেশি অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে, তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হবে। ’
এছাড়া কোন কোন ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুঁজিবাজারেরর সঙ্গে সম্পৃক্ত সে বিষয়েও খুঁজে বের করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, পুঁজিবাজারের বিশ্লেষক ছাড়াও এবি মির্জ্জা আজিজুল হক, ফারুক আহমেদ সিদ্দিকীসহ সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গেও আলোচনায় বসবে তদন্ত কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১১