ঢাকা: কারওয়ান বাজারে আবদুল করিম নামের একজন চালের আড়তদারকে চালের দাম চিজ্ঞেস করতে বললেন, গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। তা নিয়ে লোকজনের মনে একটু চাপা ক্ষোভ আছে।
বাড়লো কেন?- পাল্টা প্রশ্ন করতেই জবাবটা দিলেন শাহ জামাল নামের এক ভদ্রলোক। এতক্ষণ তিনি পাশে দাঁড়িয়ে কথা শুনছিলেন। কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। বললেন, ‘প্রতি সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে। এগুলো নিয়ে কিছু লিখতে পারেন না?’
চলতি সপ্তাহের বাজার দরে চালের দাম আবার বেড়েছে। এ নিয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা সরকারকে অবিলম্বে দাম কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান। তবে কমেছে কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম।
শনিবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে লতা চাল প্রতি কেজিতে দুই টাকা বেড়ে ৪৪, মিনিকেট ৫ টাকা বেড়ে ৫০, পাইজাম ৪ টাকা বেড়ে ৪২, নাজিরশাইল ৬ টাকা বেড়ে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গত ১৫ দিন ধরে মিনিকেট মোটা চাল ৩৪ থেকে ৩৫, স্বর্ণা ৩৪ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বোতলজাত সয়াবিনের মধ্যে রূপচাঁদা ও তীর লিটারপ্রতি ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য জিনিসপত্রের মধ্যে মসুরির ডাল গত ১৫ দিনে দেশি ৯৫ ও বিদেশি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে ছোলার দাম ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিনি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৬০, গুঁড়া মরিচ ৩০ টাকা বেড়ে ২৮০, ২ কেজির ময়দার প্যাকেট ১০ টাকা বেড়ে ৮০, ২ কেজির আটার প্যাকেটের দাম ৭ টাকা বেড়ে ৭৩, আধা কেজির সুজি প্যাকেট ৫ টাকা বেড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেশ কিছুর সবজির দাম কমেছে। এগুলোর মধ্যে কেজিতে টমেটো ৫ টাকা কমে ৩০, বাধা কপি ৫ টাকা কমে ১০, গাজর ৫ টাকা কমে ২০ টাকায় আর ফুল কপি (৭০০ গ্রাম) ৩ টাকা কমে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে দাম বেড়েছে বেশ কিছু সবজির। এর মধ্যে শিম ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে পেঁপেও কেজিতে দুই টাকা বেড়ে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে খাসির মূল্য বেড়েছে। কেজিতে খাসির মাংস ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা। মাছের মধ্যে ইলিশ এর দাম ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের রহমান ব্রাদার্স এর মালিক রহিম উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘কাঁচাবাজার ছাড়া এ সপ্তাহে ভোগ্যপণ্যের মধ্যে সব জিনিসপত্রেরই দাম বেড়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১১