ঢাকা: স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন। মঙ্গলবার ও বুধবার প্রচুর ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা ছিল না বললেই চলে।
তবে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সমন্বয় হওয়ায় বাজারে লেনদেনের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। ছয় কার্যদিবস পর সপ্তম দিনে এসে লেনদেনের পরিমাণ আবারও এক হাজার কোটি ঘরে ঢুকেছে। এদিন লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৪২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বেশি।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি হাজার কোটির বেশি লেনদেন হয়েছিল। সেদিনের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৬৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনকৃত ২৫৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৯টির, কমেছে ১১৫টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে তিনটির।
সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে সাত হাজার ৩৮৫ দশমিক ৯১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
বাজারের এই অবস্থাকে ‘অত্যন্ত স্বাভাবিক’ বলে মনে করছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ মুর্তজা আহমেদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে এসেছে। এতে করে ধীরে ধীরে বাজার স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ’
বৃহস্পতিবার লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- ইউসিবিএল, ন্যাশনাল ব্যাংক, বেক্সিমকো লিমিটেড, গ্রামীণফোন, বেক্সটেক্স, তিতাস গ্যাস, সাউথইস্ট ব্যাংক, বে-লিজিং, ওয়ান ব্যাংক ও ম্যাকসন স্পিনিং।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে ছিল- সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, মালেক স্পিনিং, উত্তরা ব্যাংক, নাভানা সিএনজি, কেয়া কসমেটিকস্, ঢাকা ডাইয়িং, আরএন স্পিনিং, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, অগ্নি সিস্টেম ও সায়হাম টেক্সটাইল।
আর দাম কমায় এগিয়ে ছিল- অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, শ্যামপুর সুগার, মডার্ন ডাইয়িং, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস্, প্রথম প্রাইম ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আরামিট, দেশ গার্মেন্টস্, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও দেশবন্ধু পলিমার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১১