ঢাকা: আলু রপ্তানিতে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা আরও পাঁচ বছর অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে আলু রপ্তানিকারক ও কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সাথে মত বিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ আশ্বাস দেন।
মতবিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ বছর আলুর উৎপাদন ১ কোটি মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে গত বছরের তুলনায় এবার আলু রপ্তানির পরিমাণও বাড়বে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এ বছর আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪ লাখ মেট্রিক টন। গত বছরও আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা একই ছিল।
সরকারি হিসাবে গত বছর আলু উৎপাদিত হয়েছে ৯০ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যমতে, গত বছর প্রায় ১ কোটি মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে।
গত বছর আলু রফতানির পরিমাণ ছিল সরকারি হিসাবে ১৫ হাজার মেট্রিক টন। আর ব্যবসায়ীদের হিসাব অনুযায়ী এটা ২০ হাজার মেট্রিক টনের মতো। এ বছর আলু রফতানির পরিমাণ প্রায় দ্বি-গুণ হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত দেশে প্রায় কয়েক প্রজাতির আলুর চাষ হয়। এর মধ্যে গ্র্যানোলার প্রজাতির চাহিদাই বেশি।
বর্তমানে আলু রপ্তানির প্রধান বাজার মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কা। মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের আলু আবার সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশেও যায়। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে আলু রপ্তানির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী আলু রপ্তানি বাড়াতে আলুর মান উন্নয়ন এবং আলু সংরক্ষণ (কোল্ড স্টোরেজ) ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর আলু সংরক্ষণের ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আরো ১০ হাজার টন অতিরিক্ত আলু সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৫৫০ ঘন্টা, ২৭ জানুয়ারি ২০১১