ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

৫৪ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ২৭০০ গ্রাহকের তথ্য তলব

এসএম গোলাম সামদানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১০
৫৪ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ২৭০০ গ্রাহকের তথ্য তলব

ঢাকাঃ  শেয়ার কেনার জন্য বিনিযোগকারীদের ঋণ-সুবিধা দেয় এমন ৫৪ প্রতিষ্ঠানের কাছে শীর্ষ ২৭০০ গ্রাহকের বিনিয়োগ তথ্য জরুরি ভিত্তিতে জানতে চেয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। এই ৫৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ২৬টি ব্রোকারেজ হাউজ এবং ২৮টি মার্চেন্ট ব্যাংক।

বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এসইসির কাছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব গ্রাহকের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেশ করতে হবে।

বুধবার এই তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছে এসইসি। এসইসির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই নির্দেশনার ফলে চলতি জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের পোর্টফোলিও এসইসির কাছে ওই ৫৪ প্রতিষ্ঠানকে পাঠাতে হবে।

এসইসির একটি সূত্র জানিয়েছে, কমিশন মনে করছেন সাম্প্রতিক তারল্য প্রবাহের (নগদ মুদ্রাপ্রবাহ) পেছনে ঋণ-সুবিধাও ভুমিকা রাখছে। তাদের সন্দেহ, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সীমার বেশি ঋণ দিয়ে থাকতে পারে। বিশেষ করে শীর্ষ কিছু গ্রাহককে। আর এটি কোনো কোনো শেয়ারের দাম বাড়তে সহায়তা করেছে। তাই প্রকৃত অবস্থা খতিয়ে দেখতে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ৫০ গ্রাহকের (মোট ২হাজার ৭০০গ্রাহক) পোর্টফোলিও চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। ঋণে অনিয়ম হয়ে থাকলে সেটি গ্রাহকের দোষ নয়, এর দায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিতে হবে। আর এসইসি এমন কিছু করবে না যা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

উল্লেখ্য, পোর্টফোলিওতে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীর কেনা শেয়ারের বিবরণ, শেয়ারের গড় ক্রয়মূল্য নির্দিষ্ট দিনে ওই শেয়ারের বাজারমূল্য, বিনিয়োগকারীর মূলধন বা ইক্যুইটি, ঋণের পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য থাকে। ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যমান মার্জিন বিধিমালা সঠিকভাবে মেনে চলছে কি-না এবং বিধি লংঘন করে নির্ধারিত সীমার বেশি হারে ঋণ দেয়া হয়েছে কি-না খতিয়ে দেখতেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
 
নতুন অর্থবছরের শুরুতে হঠাৎই বাজার উর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠায় বেশ ভাবনায় পড়ে গেছে এসইসি। অনেকের ধারণা ছিল, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের মেয়াদ না বাড়ানো, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের মুলধনী মুনাফার ওপর কর আরোপ, ব্রোকার কমিশনে উৎসে আয়করের হার বাড়ানো ইত্যাদি কারণে নতুন অর্থবছরের শুরুতে বাজারের গতি অনেক কমে যাবে।   কিন্তু সেটা হয়নি। বরং নতুন অর্থবছরের শুরুতে বাজার চাঙ্গা হয়েছে। এতে এসইসি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় বাজার পর্যালোচনার জন্য গত ৬ জুলাই দুই স্টক এক্সচেঞ্জ, শীর্ষ মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারদের সঙ্গে বৈঠক করে এসইসি। ওই বৈঠকে সকলেই অভিমত প্রকাশ করেন, নানা কারণে বাজারে তারল্য প্রবাহ বেড়েছে। এই কারণেই বাজার উর্ধ্বমুখী।

স্থানীয় সময়ঃ ১৯৫২ ঘন্টা ১৪ জুলাই ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।