ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোতে কিছু কিছু ভুল ছিলো। সরকার এখন ভুলের কারণ শনাক্ত করছে।
শুক্রবার সচিবালয়ে তার দপ্তরে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী বেভারলি জে. ওডার সঙ্গে বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় শেয়ারবাজার পতনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ’
বর্তমানে বাজারে আস্থার চরম সংকট বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগই কাজে আসেনি। কাজ হয়নি সার্কিট ব্রেকার দিয়ে চেষ্টা করেও। ’
এজন্য রোববার লেনদেন বন্ধ রেখে এসইসি ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসছেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
ওই বৈঠকে আস্থার সংকট কাটানো ও বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেও আভাস দেন তিনি।
স্থিতিশীলতা ফিরে না আসা পর্যন্ত নতুন কোনো কোম্পানিকেই বাজারে আনা সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সঙ্কট কাটানোর উপায় খোঁজা হচ্ছে। এ সংকটের কারণেই মাত্র পাঁচ মিনিটে সূচকের পতন হয়েছে ৬শ’ পয়েন্ট।
তিনি বলেন, ‘আতঙ্কের কারণেই বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসছে না। ’
অতিমূল্যায়িত হওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দায়ী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা মুনাফা লুটে নিয়ে উধাও হয়েছে। ’
এসইসিতে রদবদল হচেছ কিনা জানতে চাইলে এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলে আভাস দেন অথ্যমন্ত্রী।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ঘটনার জন্য যাদের অভিযুক্ত করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে কেউই সাক্ষী দিতে চায় না। ’
বাজারে তারল্য সংকট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অতিমূল্যায়িত আর আস্থার সংকটেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ’
সরকারি কোম্পানির শেয়ার বাজারে না আসার জন্যও দু:খ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১১