চট্টগ্রাম: পুঁজিবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ ধসের পর চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এসময় বিনিয়োগকারীদের উপর পুলিশ কয়েক দফা লাঠিচার্জ করেছে।
সড়ক অবরোধ আর বিােভের মধ্যেই সিএসইতে গিয়ে স্মারকলিপি দেন একদল বিনিয়োগকারী। এতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড.আতিউর রহমানের পদত্যাগসহ নয় দফা দাবি জানানো হয়।
এর আগে শেয়ার বাজারের সূচকের অব্যাহত পতনের কারণে দু’ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু ১৫ মিনিট পরই আবার লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।
সিএসই সিলেক্টিভ ক্যাটাগরিস সূচক স্বল্প সময়েই ৭৬৪ পয়েন্ট কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২,০১৯ এ ।
দুপুর দেড়টার দিকে কয়েক’শ বিনিয়োগকারী নগরীর আগ্রাবাদে সিএসই ভবনের সামনের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিােভ শুরু করেন। পুলিশ সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দিলে বিনিয়োগকারীরা আশাপাশের বিভিন্ন গলি ও মার্কেটে অবস্থান নেন। পরে সেখান থেকে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেয়।
এরপর দুপুর দু’টা ১০ মিনিটে বিনিয়োগকারীরা আবারও সিএসই ভবনের কয়েক’শ গজ দূরে নগরীর বাদামতলীর মোড়ে গিয়ে ব্যারিকেড দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ আবারো লাঠিচার্জ করে।
সিএমপি’র ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার তানভীর আরাফাত জানান, দফায় দফায় ব্যারিকেড দিয়ে বিশৃঙ্খলা সুষ্টির চেষ্টা করায় সিএসই ভবনের আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ কমপক্ষে ১০ জনকে আটক করে। তবে বিনিয়োগকারীরা চলে যাওয়ার পর দুপুর সোয়া তিনটায় পরিস্থিতি শান্ত হয় বলে তিনি জানান।
সিএসই’র ব্যবস্থাপক একেএম শাহরুজ আলম বলেন, “বিনিয়োগকারীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা ৯ দফা দাবি দিয়েছেন। আমরা বিনিয়োগকারীদের স্মারকলিপি সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে পাঠিয়ে দেব। ”
বাংলাদেশ সময় ১৬০২ ঘণ্টা, জানুয়ারী ২০, ২০১১