ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে ভারত থেকে ফের তুলা আমদানি শুরু

জামাল হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১১
শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে ভারত থেকে ফের তুলা আমদানি শুরু

বেনাপোল: তুলা রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবার শুল্ক পরিশোধ করে তুলা আমদানি করা হচ্ছে ভারত থেকে।

রোববার ভারত থেকে ৬১ ট্রাকে ৪ হাজার ৫৩৮ বেল তুলা আমদানি হয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে।



বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, রোববার ভারতের সুর এন্টাপ্রাইজ নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৬১টি ট্রাকে ৪ হাজার ৫৩৮ বেল তুলা আমদানি করেছে বাংলাদেশের বগুড়ার সোমা এন্টারপ্রাইজ।

আমদানি করা তুলার মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

বেনাপোলের বিপরীতে ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স এলজি ডাবউ লিমিটেডের ম্যানেজার দীপক বাবু বাংলানিউজকে জানান, গত বছরের ০৯ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় তুলা রপ্তানির েেত্র টনপ্রতি আড়াই হাজার ভারতীয় রুপি শুল্ক আরোপ করে। সেইসঙ্গে ভারতীয় কটন করপোরেশন কলকাতার পরিবর্তে দিল্লি থেকে তুলা আনার নির্দেশ দেয়। এরপর ১৯ এপ্রিল বাজার নিয়ন্ত্রণের নামে হঠাৎ করে বাংলাদেশে তুলা রপ্তানির ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত সরকার। সেই থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় তুলা আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি জানান, ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সেখানকার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। পরে আদালতের সাময়িক রায় পেয়ে তারা গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে কিছু তুলা রপ্তানি করেন বাংলাদেশে। রায়ের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে ভারত সরকার নিজের দেশের চাহিদা মেটাতে আবারো ১৫ ডিসেম্বর এক নির্দেশে বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত তুলা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। একইসঙ্গে তুলা রপ্তানিতে নতুন কিছু শর্ত জুড়ে দেয়।

এরই পরিপেক্ষিতে শুল্ক পরিশোধ করে রোববার ৪ হাজার ৫৩৮ বেল তুলা আমদানি করা হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

এদিকে, বাংলাদেশের স্পিনিং মিলের মালিকরা জানান, এখনো বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায়ীর কোটি কোটি টাকার তুলার  লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) পড়ে আছে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের কাছে। ভারত থেকে তুলা আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের উৎপাদনে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

তারা জানান, অনেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বেশি দামে তুলা আমদানি করে মিলগুলো চালু রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে খরচও বেড়ে গেছে কয়েক গুণ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি স্পিনিং মিলের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বার্ষিক তুলার চাহিদা ৪০ লাখ বেল। এ বিশাল চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশকে ভারতের ওপরেই সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতে হয়। এ অবস্থায় আমাদের পে ভারত থেকে শুল্ক দিয়ে তুলা আমদানি করা সম্ভব নয়। ’

তবে আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত এক মাসের জন্য ভারত সরকার বাংলাদেশে তুলা রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে পারে বলে জানায় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad