ঢাকা: বড় ধরনের উথান পতনের মধ্যে দিয়ে আরো একটি সপ্তাহ পার করলো দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)।
গত সপ্তাহে (৯ থেকে ১৩ জানুয়ারি) প্রথম দুই কার্যদিবসে ডিএসইতে সাধারণ মূল্য সূচক রের্কড পরিমাণ ১ হাজার ২৩৫ পযেন্ট কমে যায়।
অন্যদিকে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার সাধারণ মূল্য সূচক রেকর্ড পরিমাণ ১ হাজার ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এতে করে বাজারের এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। তবে সপ্তাহের শেষ দুই দিন সূচকের উঠানামা স্বাভাবিক থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।
গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয় মাত্র ৫ হাজার ৪২১ কোটি টাকা। এ সময় গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে (২ থেকে ৬ জানুয়ারি) ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয় ৬ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এ সময় গড় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন কমেছে ১৪৪ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পাশাপাশি বাজার মূলধন, সব সূচক এবং লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের বড় ধরনের দরপতন হয়।
সপ্তাহের শুরুতে রোববার ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। অন্যদিকে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন কমে দাঁড়ায় ৩ লাখ ২৭ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ২ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে সপ্তাহের শুরুতে রোববার সাধারণ মূল্য সূচক ৭ হাজার ৭৩৫ দশমিক ২২ পয়েন্ট থাকলেও সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তা ৭ হাজার ৫৭৫ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে নেমে আসে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সাধারণ মূল্য সূচক কমে যায় ১৫৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট।
বাজারে লেনদেন ও দরপতন সর্ম্পকে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ওসমান ইমাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবসে সূচকের উঠানামা ছিল বেশ অস্বাভাবিক। ওই সময়ে প্রথম দু’দিন যেভারে বাজারে দরপতন হয়েছে এবং তৃতীয় দিন যেভাবে ১ হাজার পয়েন্ট উঠেছে- কোনটাই স্বাভাবিক ছিল না।
তিনি আরও বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে পুঁজিবাজার স্বাভাবিক থাকতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১১