ঢাকাঃ সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার আবারো দরপতন ঘটেছে পুঁজিবাজারে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৬টি কোম্পানির মধ্যে ১৯৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ৪৪টির এবং অবশিষ্ট ৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত থাকে।
সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১১৪ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৫৭৫ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে নেমে আসে। এই দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। যা গতকালের চেয়ে প্রায় ৫৮৬ কোটি টাকা কম।
অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৩২টির, কমেছে ১৫২টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনশেষে লেনদেনের পরিমাণ দাড়ায় ৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এটি আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা কম।
সপ্তাহের শেষ দিন বাজারে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে ও সূচক কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হতাশ হলেও বাজার বিশ্লেষকরা একে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন।
এ বিষয়ে কয়েকজন বিনিয়োগকারী বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে বড় ধরনের দরপতনের পর গত মঙ্গল ও বুধবার বাজার ঊর্ধমুখি হলেও এখানো বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।
অন্যদিকে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো এসইসির নির্দেশনা অনুযাযী ১:২ হারে মার্জিন লোন না দেওয়ায় নতুন করে শেয়ার কিনে সমন্বয় করা যাচেছ না। ফলে বিনয়োগকারীরা দরপতনের ধাক্কা সামলে উঠতে পারছেন না।
এ বিষয়ে ডিএসইরি সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, দুইদিন ঊর্ধ্বমুখি থাকার পর ১০০ পয়েন্ট কমা কিংবা বাড়া স্বাভাবিক বিষয়। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। তিনি বলেন, সূচক একদিনে ৫০০ পয়েন্ট বাড়া কিংবা কমা কোনটাই স্বাভাবিক নয়।
স্থানীয় সময়ঃ ১৬২২ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১১