ঢাকা: টিসিবিকে শক্তিশালী করতে এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করবে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি ও আসন্ন সঙ্কট মোকাবেলায় সরকার এই তহবিল গঠন করতে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত খাদ্যপণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক আন্ত:মন্ত্রলালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ মন্ত্রণালয় ও টিসিবির কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে টিসিবির মাধ্যমে এসব খাদ্য আমদানি করার ও একই সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়েও খাদ্যপণ্য আমদানি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্য যে হারে বাড়ছে এতে সরকার উদ্বিগ্ন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও আগামী দিনগুলোতে বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
এই অবস্থায় দেশের অভ্যন্তরে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সরকারিভাবে খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল ৩ লাখ মেট্রিক টনের পরিবর্তে ১২ লাখ মেট্রিক টন, গম সাড়ে ৭ লাখ মেট্টিক টন এর পরিবর্তে ১০ লাখ মেট্রিক টন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবি’র মাধ্যমে চিনি অতিরিক্ত ২ লাখ মেট্টিক টন, সয়াবিন ও পাম তেল ২ লাখ মেট্ট্কি টন, ডাল ১০ হাজার মেট্রিক টন (২২ হাজার মেট্রিক টন মজুদ আছে) এবং ছোলা ২০ হাজার মেট্রিক টন আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে ৮ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ৩ লাখ মেট্রিক টন গম মজুদ আছে। বর্তমান মজুদ বাড়ানোর লক্ষে চাল এবং গমের আমদানি বাড়ানো হবে। বিশেষ করে গমের আমদানি অব্যাহত আছে। প্রয়োজনে আরো বাড়ানো হবে।
তিনি বেসরকারি পর্যায়ে আরো বেশি পরিমাণে খাদ্যশস্য আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১১