ঢাকা: বেসরকারি খাতকে উৎসাহ না দিলে শিল্পায়ন সম্ভব হবে না। উন্নত বিশ্ব আজ বেসরকারি খাতের শিল্পায়নের ফলে এখানে এসে দাড়িয়েছে।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার নতুন শিল্পনীতি প্রণয়ন করলেও তাতে বেসরকারি শিল্পায়নের বিষয়টি তেমন স্থান পায়নি। একই সঙ্গে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ায় বিষয়েও কিছু বলা হয়নি।
রাজধানীর এলজিইডি মিলনায়তনে বুধবার শিল্পায়নে বেসরকারিকরণের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মির্জা আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশন এর সাবেক চেয়ারম্যান এনাম আহমেদ চৌধুরী।
এস এ সামাদ বলেন, জিডিপি ৮ শতাংশে উন্নীত করতে চাইলে জিডিপির ২৪ শতাংশ বিনিয়োগকে ৩২ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে।
রুগ্ন বেসরকারি রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পকে পুনর্জীবিত করার চেষ্টা জাতীয় পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতাও দূর করতে হবে। কমিশনের ক্ষমতায় বাড়িয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন শিল্প উদ্যোক্তা যারা বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রয়াত্ত কয়েকটি শিল্প কিনে নিয়েছেন তারা বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে তাদের নানা ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ত রুগ্ন শিল্প কিনে নিতে চাইলে উদ্যোক্তাদের যে পরিমাণ হয়রানির শিকার হতে হয় তা অর্বণনীয়। মন্ত্রণালয় এবং কমিশনে ঘুরতে ঘুরতে জীবন শেষ হয়ে যায়। তারপরও তা পাওয়া যায় না।
আফতাব গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক শাহ হাবীবুল হক বলেন, চুক্তির পুরো টাকা এক কিস্তিতে পরিশোধ করেও ২৭ মাসে তারা কিশোরগঞ্জ চিনি কলের মালিকানা পাননি। ফলে উৎপাদনেও যেতে পারছেন না।
সভাপতির বক্তব্যে মির্জা আব্দুল জলিল বলেন, বেসরকারিকরণ নীতিমালা সহজ ও সরল করার চেষ্টা চলছে। উদোগক্তারা যাতে সহজে শিল্প পান তার ব্যবস্থা করা হবে। তবে কমিশন শতভাগ কমিটমেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারছে না।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য রোকেয়া সুলতানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১১