ঢাকা: পুঁজিবাজারের বড় ধরনের উত্থান পতন রোধে সূচকের ওপর সার্কিট ব্রেকার চালু করতে যাচ্ছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। একইসঙ্গে কমিশন শেয়ারের দাম বাড়া-কমার ক্ষেত্রে চালু থাকা সার্কিট ব্রেকার আরও কমিয়ে আনা যায় কি-না তাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে-দেখা হচ্ছে।
এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, সূচকের অস্বাভাবিক উঠানামা রোধ করার জন্য সূচকের ওপর সার্কিট ব্রেকার চালু করার কথা ভাবছে কমিশন। একইসঙ্গে বর্তমানে চালু থাকা সার্কিট ব্রেকার আরও কমিয়ে আনা যায় কি-না ও তাও ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
পুঁজিবাজারের বিভিন্ন শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক উঠানামা রোধ করার জন্য সার্কিট ব্রেকার (সর্বোচ্চ উঠানামার সীমা) চালু রয়েছে। সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী ২০০ টাকা পর্যন্ত কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারবে। তবে তা ৩৫ টাকা ঊর্ধ্বে নয়। ২০১ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে তবে তা ৭৫ টাকার বেশি না। ৫০১ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ তবে ১২৫ টাকা ঊর্ধ্বে নয়। ১ হাজার ১ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত সাড়ে ১২ শতাংশ ২০০ টাকা ঊর্ধ্বে নয়। ২ হাজার ১ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ, তবে ৩৭৫ টাকা ঊর্ধ্বে নয় এবং ৫ হাজার ১ টাকা থেকে অসীম পযন্ত সাড়ে ৭ শতাংশ তবে তা ৬০০ টাকা ঊর্ধ্বে নয়।
বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকারা থাকলেও বর্তমানে সূচকের সর্বোচ্চ উঠানামার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার নেই। ফলে গত এক মাসে ডিএসইতে একদিনে সাধারণ মূল্য সূচক একাধিকার ৫৫০ থেকে ৬১৯ পয়েন্ট পর্যন্ত একাধীকবার পতন হয়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলকার একদিনে সাধারণ মূল্য সূচক ১ হাজার ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে সূচকের উঠানামার জন্য কোনো সার্কিট না থাকায় একদিনে সূচকের অস্বাভাবিক উঠানামা করে। সূচকের সার্কিট ব্রেকার থাকলে সেটা হবে না। তবে এটা আরও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, এটা করা হলে বাজারের ব্যাপক উঠানামা সার্বিকভাবে বন্ধ হবে। তবে এতে করে বাজারে কৃত্রিমতা বাড়বে। তাই এটি করার আগে আরও চিন্তা ভাবনা করা দরকার।
স্থানীয় সময়ঃ ১৬৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১১