ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআরের নতুন পরিকল্পনা

মসিউর আহমেদ মাসুম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১০
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআরের নতুন পরিকল্পনা

ঢাকা: রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ পরিকল্পনায় বিভিন্ন জেলা শহরে কর অফিস স্থাপন, প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাব জব্দ, করদাতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও উচ্চ রাজস্ব সম্ভাবনাময় মামলাগুলো নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।



এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ৭২ হাজার ৫৯০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের ল্যমাত্রা অর্জনে অনতিবিলম্বে সমাপ্য, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়মিত ও চলমান কাজের  মানোন্নয়ন ছাড়াও কাজের পরিধি বিস্তৃতির মাধ্যমে বর্ধিত আকারে উচ্চ মানসম্পন্ন সেবা দানের পরিকল্পনাও প্রণয়ন করছে এনবিআর।

পরিকল্পনা অনুযায়ী অনতিবিলম্বে সমাপ্য অর্থ্যাৎ এক মাসের মধ্যে এনবিআর যেসব কাজ করবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১৪২ ধারায় সার্টিফিকেট মামলা, আয়কর অধ্যাদেশের ১৪৩ ধারায় ব্যাংক হিসাব জব্দ করা, উচ্চ দাবিবিশিষ্ট বকেয়া আয়কর আদায়ের ল্েয করদাতাদের সঙ্গে দ্বিপীয় আলোচনা।

স্বল্পমেয়াদে সমাপ্য অর্থ্যাৎ  তিনমাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে এমন কার্যক্রমের তালিকার মধ্যে রয়েছে, উচ্চ রাজস্ব সম্পৃক্ত আয়কর মামলা নিষ্পত্তির কার্যক্রম জোরদার করা, পৌরসভা থেকে গৃহ সম্পত্তির হোল্ডিং নম্বর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বাছাই করে নতুন করদাতা শনাক্তকরণ। নিয়মিত অফিস পরিদর্শনের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোর কাজের সমন্বয় সাধন ও দিক-নির্দেশনা দান করা। চলতি দাবি ও  বকেয়া আয়কর আদায় কার্যক্রম জোরদার করা, অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করা, নথিভুক্ত আয়কর মামলার যথার্থতা যাচাই এবং ভুয়া টিআইএন শনাক্তকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা।

মধ্যমেয়াদে অর্থাৎ ছয় মাসের মধ্যে যেসব কাজ করা হবে তা হলো, বিভিন্ন জেলা শহরে কর অফিস স্থাপনের উদ্যোগ ও সার্কেল অফিসগুলোর সব কর মামলা নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা। এছাড়া চলতি দাবি ও বকেয়া দাবি আদায়ের চলমান কার্যক্রমকে বেগবান করা।  

দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রমের সময়কাল হবে এক বছর। এই সময়ের মধ্যে অর্থাৎ অর্থবছরের শেষে বিভিন্ন কর অফিসগুলোকে সৃষ্ট দাবি, বকেয়া দাবি, ও অগ্রিম আয়কর আদায়ের বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম মনিটরিং জোরদার করতে হবে। একই সঙ্গে তথ্য সংরণের জন্য ‘ডাটা বেইজ’ এর কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়া প্রত্যেক কর অঞ্চলকে কাজের মূল্যায়নের একটি প্রতিবেদন এনবিআরে পাঠাতে হবে।

বাংলাদেশ সময় ১৮৪১, জুলাই ১১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।