ঢাকা: সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) জ্যেষ্ঠ সদস্য মো. মনসুর আলমকে পদত্যাগ করতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত তাকে নিস্ক্রীয় রাখার জন্য কমিশনের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে এসইসিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও কমিশনের মুখপাত্র আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়া কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে এ ধরনের কথা আমিও শুনেছি। ’
গত ৬ ডিসেম্বর সোমবার এসইসির জ্যেষ্ঠ সদস্য মনসুর আলম কমিশনের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকারকে না জানিয়ে চেক ও নেটিং সংক্রান্ত দুটি নির্দেশনা জারি করে। নিদের্শনা দু’টি হলো- নেটিং সুবিধার অপব্যবহার করে শেয়ারবাজারে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের গ্রাহকের হিসাব থেকে শেয়ার বিক্রির আগেই এর বিপরীতে শেয়ার কেনার সুযোগ বন্ধ এবং চেক জমার পর কিয়ারিং হয়ে নগদ টাকা জমা না হওয়া পর্যন্ত ওই টাকায় শেয়ার কেনার প্রবণতা বন্ধের জন্য এ দু’টি নির্দেশনা জারি করা হয়।
এ কারণে ৮ ডিসেম্বর বুধবার সকালে লেনদেন শুরুর পর শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস নামে। এরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে এসইসি নির্দেশনা দু’টি স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
এসইসির চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে নির্দেশনা জারি করায় কমিশন থেকে মনসুর আলমকে এসইসির চেয়ারম্যান কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
পরবর্তীতে ১২ ডিসেম্বর একজন বিনিয়োগকারী হাইকোর্টে রিট করলে, আদালত কমিশনের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ছাড়া চেক নগদায়ন এবং নেটিং সংক্রান্ত দু’টি নির্দেশনা জারির কারণে এসইসি সদস্য মনসুর আলমে কেন তার পদে অযোগ্য ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই ঘটনার পর থেকে এসইসির সদস্য মনসুর আলম এক ধরনের নিস্ক্রীয় রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১