ঢাকা: প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা নীতি’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চা বোর্ড, ১১-১১৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০ এই ঠিকানায় লিখিতভাবেও মতামত জানানো যাবে।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি জানান, বিদ্যমান সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অত্যন্ত লাভজনক ও বিকাশমান চা শিল্পের ভূমির যথাযথ ব্যবহার, গবেষণা ও উন্নয়ন, বাজারজাতকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ চা শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নের সরকার ‘জাতীয় চা নীতি’ প্রণয়নের কাজে হাতে নেওয়া হয়েছে।
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে এবং পরে তা মন্ত্রী পরিষদে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে অভ্যন্তরীণ চায়ের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়লেও সে অনুপাতে উৎপাদন বাড়েনি। অন্যদিকে চা চাষে ব্যবহৃত জমির পরিমাণও ক্রমেই কমছে। ফলে চা রপ্তানির পরিমাণও ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন ও চা চাষে ভূমির ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।
বৈঠকে বাণিজ্য সচিব মোহাম্মদ গোলাম হোসেন, অতিরিক্ত সচিব এটিএম মুর্তজা রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুল হাসান, বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাফওয়ান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১