ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বর্ধিতহারে মার্জিন লোন না পেয়ে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা

গোলাম সামদানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১

ঢাকা: বর্ধিত হারে মার্জিন লোন না পেয়ে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীরা। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীরা মার্জিন লোন না পেয়ে বেশ কয়েকটি মার্চেন্ট ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ করে দেয়।



গতকাল সোমবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) মার্জিন লোন রেশিও ১:১.৫ থেকে বাড়িয়ে ১:২ করে দেয়। এসইসির ওই নির্দেশনা মঙ্গলবার থেকে কার্যকর করার কথা থাকলেও এদিন বেশির ভাগ ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক তা কার্যকর করেনি। ফলে লেনদেন শুরু থেকেই মার্জিন লোন না পেয়ে বেশ কয়েকটি মার্চেন্ট ব্যাংকে বিনিয়োগকারীরা লেনদেন বন্ধ করে দেয়।

এদের মধ্যে রয়েছে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, আইডিএলসি ও প্রাইম ব্যাংকের ব্রোকারেজ হাউজ। এসব হাউজে লেনদেনকারী বিনিয়োগকারীরা ১:২ হারে মার্জিন লোন পেয়ে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে এবং এক পর্যায়ে লেনদেন সাময়িক বন্ধ করে দেয়।

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ টানা রেকর্ড পরিমাণ দরপতনের কারণে তারা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এই অবস্থায় এসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ১:২ হারে মার্জিন লোন পেলেও তারা লোকসান কিছুটা কমিয়ে আনতে পারতো।
কিন্তু ব্রোকারেজ হাউজগুলো ১:২ পরিবর্তে ১:০.২৫ থেকে সর্বোচ্চ ১;১ হারে মার্জিন লোন দিচ্ছে। এদের মধ্যে ফারইস্ট স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ হাউজের বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেন তাদের হাউজে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ১:২ পরিবর্তে ১:০.৬০ হারে মার্জিন লোন কাগজে কলমে পেলেও বাস্তবে আরো কম পাচ্ছে।

অন্যদিকে এই হাউজেই অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারীকে ১:১ থেকে ১:১.৫ হারে মার্জিন লোন দেওয়া হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন অন্য কয়েকটি হাউজের বিনিয়োগকারীরাও।  

অন্যদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ মুর্তজা আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, এসইসি মার্জিন লোন রেশিও ১:২ নির্ধারণ করে দিয়েছে। তার অর্থ হলো আমরা এর বেশি মার্জিন লোন দিতে পারবো না। কিন্তু হাউজগুলো তার সামর্থ অনুযায়ী মার্জিন লোন দিবে। তারল্য সংকটের কারণে বেশির ভাগ হাউজ ওই পরিমাণ মার্জিন লোন দিতে পারছে না।

বিনিয়োগকারীদের একই হাউজে বিভিন্ন হারে মার্জিন লোন দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এটা উচিত না। তবে এটা হাউজগুলোর নিজস্ব বিষয়।  

তিনি আরো বলেন, মার্জিন লোন সামান্য বাড়ানোর কারণে সাধারণ মূল্য সুচক ১ হাজার পয়েন্ট বেড়ে গেছে। আজ যদি সবাই ১:২ হারে মার্জিন লোন দিতো তাহলে বাজারের কি অবস্থা হতো।     
 
অন্যদিকে ফারইস্ট স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, অর্থ সংকটের কারণে আমরা বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোন চাহিদা অনুযায়ী দিতে পারছি না। বর্ধিত হারে মার্জিন লোন দেওয়ার জন্য আমরা বেশ কয়েকটি লিজিং কোম্পানির কাছে টাকা চেয়েছি। আশা করি আগামী ২/১ দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।