ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘সূচক বাড়লো ১ হাজার ১২ পয়েন্ট’

ভয়াবহ দরপতনের পরদিনই পুঁজিবাজার চাঙ্গা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১
ভয়াবহ দরপতনের পরদিনই পুঁজিবাজার চাঙ্গা

ঢাকা: ভয়াবহ দর পতনের পরদিন বিপরীত আচরণ লক্ষ করা গেছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রের্কড পরিমাণ সূচক বেড়েছে।

যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।

মঙ্গলবার ডিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৫১২ পয়েন্টে উন্নীত হয়। এটি একদিনে ডিএসইতে সর্বোচ্চ সূচক বৃদ্ধি।

এর আগে ২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর গ্রামীণফোনের লেনদেন চালুর প্রথম দিনে সাধারণ সূচক বেড়েছিল ৭৬৪ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট।

এদিন সূচক বৃদ্ধির পাশপাশি বাজার মূলধন ২ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৩ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। মাত্র একদিনে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩৮ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া ২৪৮টি কোম্পানির মধ্যে ২৪৩টি কোম্পানির শেযারের দাম বেড়েছে, কমেছে মাত্র ৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

অন্যদিকে সিএসইতেও এদিন লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। সে সঙ্গে বেড়েছে সব সূচক ও বাজার মূলধন। দিনশেষে লেনদেন হওয়া ১৯৪টি কোস্পানির মধ্যে ১৮৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
সিএসই সার্বিক মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ২ হাজার ৬৮২ পয়েন্ট বেড়ে ২১ হাজার ৮৯৫ পয়েন্টে উন্নীত হয়।    
 
মঙ্গলবার উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের বড় ধরনের ঊর্ধমুখী এবং লেনদেন হওয়া প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও সে তুলনায় আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল খ্বুই কম।

এদিন লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম সার্কিট ব্রেকার এর কাছাকাছি চলে এলেও বেশির ভাগ বিনিয়োগ শেয়ার বিক্রি করেনি। ফলে বেশির ভাগ সময় ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা ছিল না বললেই চলে। আর এই কারণেই লেনদেন কম হয়েছে।

এ ব্যাপারে জাফর, সাজ্জাদ ও সুমন নামের কয়েকজন বিনিয়োগকারী বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে বড় ধরনের দরপতনের পর অধিকাংশ শেয়ারের দাম বাড়লেও এখনো বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের লোকসানে রয়েছে। ফলে দাম বাড়লেও বিনিয়োগকারীদের লোকসানে থাকায় শেয়ার বিক্রি করেনি।
অন্যদিকে বর্ধিত হারে মার্জিন লোন না পাওয়ায়  সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নতুন করে শেয়ার কিনতে পারেনি। ফলে লেনদেন কম হয়েছে।  

বাজারের লেনদেন কম ও সূচক বাড়া প্রসঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মূর্তজা আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আসতে শুরু করেছে। তবে বাজারে সূচক ৫০০ থেকে ১০০০ পয়েন্ট বাড়া কিংবা কমা কোনটাই স্বাভাবিক নয়। তবে আমি আশা করি এভাবে শেযারবাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।

মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয় মাত্র ৯৭৭ কোটি টাকা। এটি গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন। অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেন হয় মাত্র ১৭১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।