ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নিতে মালদ্বীপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম।
সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার আহমেদ সারির ডিসিসিআই কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে সংস্কৃতি, ধর্ম ও অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক মিল রয়েছে, যা দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ’
এ সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে শ্রমিক নিয়োগের আহবান জানান। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, রাসায়নিক পণ্য, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ইত্যাদি আমদানিরও আহবান জানান।
পর্যটন শিল্পের আরও উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি মালদ্বীপের হাইকমিশনারকে জানান, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ পর্যটন শিল্প যথেষ্ট সম্ভাবনাময় এবং এর চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে।
আসিফ ইব্রাহীম দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়ানো এবং চেম্বার পর্যায়ের সর্ম্পক আরও সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপকে একযোগে কাজ করারও আহবান জানান তিনি।
মালদ্বীপের হাইকমিশনার আহমেদ সারির জানান মালদ্বীপ সরকার সে দেশে যোগাযোগ, আবাসন, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে পিপিপি (প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ) মডেলের আওতায় বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত করেছে।
মালদ্বীপ সরকার ১০ হাজার বাড়ি তৈরি এবং এক হাজার ১৯টি দ্বীপের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে তিনি বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সম্প্রতি সে দেশের সরকার ঘোষিত উন্মুক্ত নীতির সুযোগ নিয়ে বিনিয়োগের আহবান জানান।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি টিআই এম নূরুল কবীর, সহ-সভাপতি নাসির হোসেন, পরিচালক এম বশির উল্লাহ ভূঁইয়্যা, ওসমান গনি, কেএমএন মন্্জুরুল হক, এম আবু হোরায়রা এবং ডিসিসিআই’র অতিরিক্ত সচিব ফেরদৌস আরা বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১