ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মণিশঙ্করের বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র দ্বিমত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১০

ঢাকা: ভারতে পণ্য রপ্তানি বাড়াতে সে দেশের সাবেক তেল ও গ্যাসমন্ত্রী ও বর্তমান রাজ্যসভা সদস্য মণিশঙ্কর আয়ারের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
 
সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ভারতের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এফবিসিসিআই’র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।



দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মণিশঙ্কর আয়ার বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা তেমন বড় কোনো বিষয় নয়। আসল কথা হচ্ছে, এ ব্যাপারে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। ’

মনিশঙ্কর আয়ারের এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘শুল্ক-অশুল্ক জনিত বাধা ও পণ্যমাণ পরীক্ষাসহ নানা জটিলতার কারণে ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে না। এতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ভারতে পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। সেই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি দিন দিন বাড়ছেই। ’

রাজধানীর ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত এ বৈঠকে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার রজিত মিত্র উপস্থিত ছিলেন।

মণিশঙ্কর আয়ারের নেতৃত্বে ৩১ সদস্যের একটি ভারতীয় বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বর্তমানে ঢাকা সফর করছে।

ভারতের সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাংলাদেশকে এই সুযোগ কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্যে রপ্তানি বাড়িয়ে বাংলাদেশ তার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার আরো ২ শতাংশ বাড়াতে পারে। ’

এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক-অশুল্ক জনিত বাধা ছাড়াও অবকাঠামোগত, কাস্টমস ও ব্যাংকিং সমস্যা এবং  ব্যবসায়ীদের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। এছাড়া সীমান্তে বাংলাদেশি পণ্যের মান পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দুই সপ্তাহ সময় লেগে যায়। ’

পণ্য রপ্তানির বাধাগুলো দূর করতে শিগগিরই এফবিসিসিআই’র নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বলে জানান এ কে আজাদ। এব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad