ঢাকা: বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা।
থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা, জয়েন্ট ট্রেড কমিশনকে কার্যকর করা এবং দু’দেশের পণ্যের মেলা ও প্রদশর্নীর আয়োজন করার কথা বলেছেন তারা।
বুধবার বিকালে মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী প্রোনতিভা নাকাসাই (Prontiva Nakasai) বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে এক মতবিনিময় বৈঠকে মিলিত হলে দুই দেশের মন্ত্রীরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
ঢাকাস্থ থাই রাষ্ট্রদূত তাসানাওয়াদি মিয়ানচারোয়েন (Tassanawadee Meancharoen) ও থাই বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক মানাট সয়প্লয় (Manat Soiploy) এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে থাই বাণিজ্য মন্ত্রী থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা এবং এ লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড জয়েন্ট ট্রেড কমিশনকে কার্যকর করা এবং দু’দেশের পণ্যের মেলা ও প্রদশর্নীর আয়োজন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী থাই মন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রতিবছর যে হারে বাড়ছে এতে করে তা ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত না হওয়ার কোন কারণ নেই। একইসঙ্গে তিনি থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের ২২৯টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ত্বরান্বিতকরণ, বাংলাদেশে থাই বিনিয়োগ বাড়ানো, থাইল্যান্ড থেকে র’ সুগার ও চাল আমদানি এবং কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে থাইল্যান্ডের কারিগরি সহায়তার অনুরোধ জানান।
বাণিজ্য মন্ত্রী ফারুক খানের বক্তব্যের জবাবে থাই বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে থাই বিনিয়োগের ব্যাপারে তার ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে জানান, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের ২২৯টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বর্তমানে থাইল্যান্ডের অনুকূলে রয়েছে। গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ড থেকে ৬৩ কোটি ৩২ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এর বিপরীতে সে দেশে রপ্তানি করেছে ২ কোটি ৫ লাখ ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ২১২৩ ঘন্টা , ১৯ জানুয়ারি , ২০১১