ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০১০ সালে বিনিয়োগকারী বেড়েছে সাড়ে ১৩ লাখ

এসএম গোলাম সামদানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১০
২০১০ সালে বিনিয়োগকারী বেড়েছে সাড়ে ১৩ লাখ

ঢাকা: পুঁজিবাজারে সক্রিয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৩২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সর্বশেষ তথ্যে একথা জানা গেছে।



সিডিবিএলের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৯ ডিসেম্বর বুধবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে মোট বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৩২ লাখ ৬০ হাজার ১৬৮ জন। অর্থাৎ চলতি বছর বাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ।

২০১০ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত পুঁজিবাজারে মোট বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩৮৯ জন। চলতি বছরে নতুন বিনিয়োগকারী প্রবেশ করেছে ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৯ জন। এর মধ্যে বছরের প্রথম ছয় মাসে ৬ লাখ ৩১ হাজার জন এবং শেষ ছয় মাসে ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ জন নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে প্রবেশ করেছে।

চলতি বছরে পুঁজিবাজারে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ নতুন বিনিয়োগকারী প্রবেশ করার পাশাপশি ২৪ টি নতুন কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড তালিকাভুক্ত হয়েছে। একই সময়ে ২২ টি কোম্পানির ২ হাজার ৪৭২ কোটি ৫ লাখ ২ হাজার টাকার রাইট শেয়ার অনুমোদন দেয় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। ওই বিপুল পরিমাণ শেয়ার বাজারে আসার পরেও বাজারে শেয়ার সংকট থেকেই যায়। ফলে সারা বছর ধরে বাজারে এক ধরনের শেয়ার সংকট সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে বিপুল সংখ্যাক বিনিয়োগকারী প্রবেশের কারণে বাজারে শেয়ারের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ পর্যাপ্ত না হওয়ায় বাজারে লেনদেন হওয়া  বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়ছে। আর এই অতিমূল্যায়িত শেয়ার কিনে নিজেদের বিনিয়োগকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আরই এরই পরিণতিতে গত ৮, ১২ ও ১৯ ডিসেম্বর বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়।

ডিএসইর সভাপতি মো. শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে প্রতিনিয়ত নতুন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এটি পুঁজিবাজরের জন্য অত্যন্ত ভালো দিক। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের ধরে রাখার জন্য বাজারে শেয়ারের সরবরাহ আরো বাড়াতে হবে। তা না করা হলে বিনিয়োগকারীদের ধরে রাখা যাবে না।

ডিএসইর সাবেক সভাপতি মো. রকিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চলতি ২০১০ সালে বছরে বাজারে প্রচুর বিনিযোগকারী প্রবেশ করেছেন। এটা পুঁজিবাজারের জন্য অত্যন্ত ভালো দিক। এই বিনিয়োগকারীদের ধরে রাখার জন্য চলতি বছরে বাজারে রেকর্ড পরিমাণ, রাইট শেয়ার, বুক বিল্ডিং ও ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে অনেক বড় বড় কোম্পানি বাজারে এসেছে এবং এই ধারা আগামীতে অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি।

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।