ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০১০: উল্লম্ফন আর মহাপতনের পুঁজিবাজার

গোলাম সামদানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১০
২০১০: উল্লম্ফন আর মহাপতনের পুঁজিবাজার

ঢাকা : পুঁজিবাজারে মহা উল্লম্ফন আর মহাপতনের সাক্ষী হয়ে আছে ২০১০ সাল। লেনদেন, সূচক, বাজার মূলধন, সিকিউরিটিজের সংখ্যাসহ সব দিক থেকেই রেকর্ডময় একটি বছর পার করল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

দৈনিক গড় লেনদেন বিগত কয়েক বছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। বাজার মূলধন জিডিপির অনুপাত ৪৮.৮১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বছর জুড়েই পুঁজিবাজারে নতুন নতুন বিনিয়োগকারীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। লেনদেনের পাশাপাশি ২০১০ সালে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব জমা পড়ছে। পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের অগ্রগতি এবং বছর জুড়ে এসইসির বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সালতামামি তুলে ধরা হলো।

বাজার মূলধন
২০০৯ সালে ৩০ ডিসেম্বর ডিএসইর বাজার মূলধন ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৩০ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৩ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ কোটি টাকায়। ২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর তারিখে বাজার মূলধন ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বেড়ে যায় এবং শতাংশের দিক থেকে বেড়ে যায় ৮৪.২১ শতাংশ। ৫ ডিসেম্বর ২০১০ সালে ডিএসই বাজার মূলধন সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করে ৩ লাখ ৬৮ হাজার কোটিতে দাঁড়ায়। বাজার মূলধন ও জিডিপির অনুপাত ১৯.৭৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৮.৮১ শতাংশে উন্নীত হয়।

আর্থিক ও শেয়ার লেনদেন
২০১০ সালে ডিএসইতে ১ হাজার ৬৫৩ কোটি ১৫ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়। যার মূল্য ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৬০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। বিপরীতে ২০০৯ সালে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৯৬ কোটি ৮০ লাখ। যার বাজারমূল্য ছিল ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।   ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১০ সালে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ১০৭.৪৭ শতাংশ। আর্থিক লেনদেন বেড়েছে ১৬৮.৬৬ শতাংশ। ২০১০ সালে গড়ে ৬ কোটি ৭৭ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ ১ হাজার ৬২৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০০৯ সালে শেয়ার লেনদেন ৩ কোটি ২৬ লাখ এবং আর্থিক গড় লেনদেন ছিল ৬০৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
 
২০০৯ সালে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ২০ অক্টোবর। ওইদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৪৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ২০১০ সালে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৫ ডিসেম্বর। ওইদিন ডিএসইতে ৩ হাজার ২৪৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়। ২০১০ সালে ২০ ডিসেম্বর একদিনেই সূচক  সর্বোচ্চ ৩০৪.৮৭ পয়েন্ট বেড়ে যায় এবং ১৯ ডিসেম্বর ২০১০ একদিনে সূচক কমে যায় ৫৫১.৭৭ পয়েন্ট।  

ডিএসই সাধারণ মূল্যসূচক
৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখের ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৪ হাজার ৫৩৫.৫৩ পয়েন্ট থেকে ৩ হাজার ৭৫৪.৮৮ পয়েন্ট বেড়ে ৩০ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে ৮ হাজার ২৯০.৪১ পয়েন্টে পৌঁছায়। অর্থাৎ ২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক পয়েন্টের দিক থেকে বাড়ে ৩ হাজার ৭৫৪.৮৮ পয়েন্ট এবং শতাংশের দিক থেকে বাড়ে ৮২.৭৮। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৯১৮.৫১ পয়েন্ট  উঠে যায়। ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক সর্বনিম্ন ছিল ৪ হাজার ৫৬৮.৪০ পয়েন্ট।

কাগজের শেয়ার বিলুপ্ত
১ অক্টোবর ২০১০ তারিখ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কাগজের শেয়ার লেনদেন বিলুপ্ত করা হয়।

সরকারের রাজস্ব আয়
ডিএসই শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে-কর সংগ্রহ করে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০১০ পর্যন্ত ৩১৫ কোটি ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে। এর আগের বছর ২০০৯ সালে এ খাত থেকে সরকারের আয়ের পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি ৪৬ লাখ ৩৯ হাজার ২৪০ টাকা।

২০০৬ সালে এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় অর্জিত হয়েছে ১ কোটি ৯৫ লাখ ১৯ হাজার ৩৮৬ টাকা। ২০০৭ সালে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৪৫ হাজার ১০০ টাকা। ২০০৮ সালে ডিএসইর আদায়কৃত উৎসে-করের পরিমাণ ২০ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার ২৬৭ টাকায় দাঁড়ায়। এছাড়াও এই অর্থ বছরের বাজেটে প্রথম ৫ মাসে উদ্যোক্তা ও প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি থেকে ৭৩ কোটি ২২ লাখ ৯৩ হাজার ১৫১ টাকা সরকারি রাজস্ব খাতে জমা দেওয়া হয়েছে।

মার্কেট পিই
২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর মার্কেট পিই ছিল ২৫.৬৫। ৩০ ডিসেম্বর ২০১০ বাজার পিই দাঁড়িয়েছে ২৮.৪৭। ২০১০ সালে ৫ই ডিসেম্বর সর্বোচ্চ পিই ছিল ৩০.৫০।

তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ
২০১০ সালে ডিএসইতে রেকর্ড সংখ্যক সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্ত হয়। ২০১০ সালে ডিএসইতে মোট ৩০ হাজার ৯৫৭ মিলিয়ন টাকার পেইডআপ ক্যাপিটাল সম্পূর্ণ ২৫টি সিকিউরিটিজ ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। যার মধ্যে ১২টি মিউচুয়াল ফান্ড, ১টি বন্ড, ১টি কর্পোরেট বন্ডসহ মোট ১২টি কোম্পানি। অপরদিকে ২০০৯ সালে ৩টি মিউচুয়াল ফান্ডসহ ১৯ হাজার ৪১০ মিলিয়ন টাকা সম্পূর্ণ ১৫টি সিকিউরিটিজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়।

২০১০ সালে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি তালিকাভুক্ত কোম্পানি
২০০১০ সালে প্রথমবারের মতো বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আরএকে সিরামিকস, ওশেন কন্টেইনার এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লি. পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এছাড়া এ বছর অনুমোদন পাওয়া  ক্রাউন সিমেন্ট, মবিল যমুনা লি. বাজার আসার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
 
বিনিয়োগকারী
২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ২১৪ জন। ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর হয় ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩৮৯টি। সর্বশেষ ৩০ ডিসেম্বর ২০১০ সালে এসে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়ে হয় ৩২ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৫ জন। এক বছরে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন।
 
ফেসভ্যালু এবং মার্কেট লট পরিবর্তন
২০১০ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৫টি কোম্পানি তাদের ফেসভ্যালু ও মার্কেট লট পরিবর্তন করেছে এবং ২৮টি কোম্পানি ফেসভ্যালু পরিবর্তন এসইসি’র অনুমোদন এর অপোয় রয়েছে।

ডিমেট না হওয়া কোম্পানি
বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তি লাঘবে এসইসি কাগজের শেয়ার বিলুপ্তির জন্য ১ জুন ২০১০ তারিখে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কাগজের শেয়ার ডিমেট করতে ব্যর্থ হওয়ায় ১ জুলাই ২০১০ থেকে ২৬টি কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হয়। অন্যদিকে এসইসির বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ডিমেট করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২৫টি কোম্পানিকে  তালিকাচ্যুত করে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয়।
 
ওটিসি মার্কেট
ডিএসই ২০০৯ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি মার্কেট নামে বিকল্প মার্কেট চালু করে। ৬ই সেপ্টেম্বর ওটিসি মার্কেট চালু হলেও ওই বছরের ৪ অক্টোবর দূর্বল মৌলভিত্তির ৫১টি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ডিমেট করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১০ সালের ১ অক্টোবর জেড ক্যাটাগরিভুক্ত ২৫টি কোম্পানিকে ওটিসিতে পাঠানো হয়। পরে এসইসির ৫ অক্টোবর দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকা আরও ৪ কোম্পানিকে ওটিসি মার্কেটে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বর্তমানে ডিএসইর ওটিসি মার্কেটে ৭৯টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর ২০১০ পর্যন্ত ওটিসি মার্কেটে ৭৯টি কোম্পানির ৫ লাখ ২ হাজার ৯২১টি শেয়ার লেনদেন হয় যার মূল্য ১৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯১ হাজার ৫৩৭ টাকা।

লেনদেন স্থগিত
অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে তালিকাভুক্ত মোট ৩০টি কোম্পানির লেনদেন বিভিন্ন সময়ে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। ৬টি কোম্পানি সাসপেন্ড করে তদন্ত সাপেক্ষে লেনদেন পুনরায় চালু করা হয়।

ব্রোকারেজ হাউজের শাখা অফিস
বর্তমানে ঢাকাসহ ২৮টি জেলা শহরে ব্রোকারেজ হাউজের ৬২৪টি শাখা অফিস রয়েছে। ২০০৯ সালে ২১টি জেলায় এই সংখ্যা ছিল ৩৮৮ এবং ২০০৮ সালে ১০টি জেলায় ছিল ২৭২।
 
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি
ব্রোকারেজ হাউজেও প্রচুর সংখ্যক শিতি লোকের কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৯ সালে ডিএসইর বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের অনুমোদিত প্রতিনিধির সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪৬০ জন। ২০১০ সালে এ সংখ্যা ৪ হাজার ১২৮।

বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
২০১০ সালে সারা বছর ধরে বাজার ছিল বেশ উর্ধ্বমখি। কিন্তু ৮ ডিসেম্বর হঠাৎ করে বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়। ওইদিন মাত্র মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে ডিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৪৭ পয়েন্ট কমে যায়। ফলে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। এই ঘটনার দেড় সপ্তাহ পর ১৯ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে আবার বড় ধরনের দরপতন হয়। ওইদিন ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৫৫১ পয়েন্ট কমে যায়। এটা ছিল পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দরপতন-বিপর্যয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক সহিংস বিক্ষোভ করেন।
 
২৬টি সরকারি কোম্পানির শেয়ার আনতে না পারা
২০১০ সালে জানুয়ারির ১৩ তারিখে অর্থমন্ত্রী ২৬টি সরকারি কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার ঘোষণা দেয়। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার সময়সীমা (টাইম ফ্রেম) বেঁধে দিলেও নির্ধারিত সময়ে এই শেয়ারগুলো বাজারে আসেনি। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে আক্ষেপ করে এজন্য আমলাদের দায়ী করেন।

২০১০ সালে এসইসির বিভিন্ন পদক্ষেপ
১৭ জানুয়ারি : এসইসি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ত্রৈমাসিক আর্থিক বিবরণী প্রকাশ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় বলা হয়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ত্রৈমাসিক আয় বিবরণীতে আয়ের পূর্ণাঙ্গ উৎস উল্লেখসহ নিজ নিজ ওয়েবসাইটে ত্রৈমাসিক আর্থিক বিবরণী প্রদর্শন করবে।

২৪ জানুয়ারি : পুঁজিবাজারের অব্যাহত উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এসইসি মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, যে কোনো মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ সর্বোচ্চ দশ বছর হবে এবং যেসব মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ এরই মধ্যে দশ বছর পার হয়েছে, সেগুলো আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখের মধ্যে অবলুপ্ত করতে হবে। একই সঙ্গে এসইসি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মার্চেন্ট ব্যাংক এবং পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের ৫০ উর্ধ্ব পি/ই সম্পন্ন সিকিউরিটিজগুলোর লোন না দিতে এক নির্দেশনা জারি করে।

১ ফেব্রুয়ারি : পোর্টফোলিও ম্যানেজার এবং ডিএসই, সিএসইর সদস্যরা তাদের গ্রাহকদের ১:১ অনুপাতে লোন দেবে এই মর্মে এক নির্দেশনা জারি করা হয়।

৮ ফেব্রুয়ারি : এসইসি পুঁজিবাজার এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে গ্রামীণফোনের নেটিং সুবিধা বন্ধ করা শীর্ষক এক নির্দেশনা জারি করে।

১৮ ফেব্রুয়ারি : বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে এসইসি গ্রামীণফোন ও ম্যারিকোর শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জরি করে।

১৫ মার্চ : মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকার গ্রাহকদের ১:১.৫ অনুপাতে ঋণ দেবে এ মর্মে এসইসি এক নির্দেশনা জারি করে।

২৩ মার্চঃ এসইসি গ্রাহকদের মার্জিন লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে এনএভি ফর্মুলার প্রবর্তন সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করে।

১০ মে : সব সিকিউরিটিজের ইউনিফর্ম ফেসভ্যালু ও মার্কেট লট প্রথা প্রবর্তন বিষয়ে এসইসি ২০১০ সালের এক নির্দেশনা জারি করে।

১ জুন : এসইসি এক নির্দেশনা জারি করে, ‘বি’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভূক্ত যে কোনো কাগুজে/পেপার শেয়ার ১ জুলাই, ২০১০ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবনমিত হবে এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির যে কোনো পেপার শেয়ার আগামী ১ অক্টোবর, ২০১০ থেকে ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হবে।

১৫ জুন : মার্জিন লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে এসইসি ইক্যুয়িটির পি/ই ৪০ এ নির্ধারণ করে দেয়।

৩০ জুন : বি/ও অ্যাকাউন্টের বার্ষিক হিসাব রণাবেণ ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে এসইসি।

৮ জুলাইঃ মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকার গ্রাহকদের ১ঃ১ অনুপাতে লোন দেবে বলে এসইসি নতুন নির্দেশ জারি করে।
 
২৮ সেপ্টেম্বর : ‘জেড’ ক্যাটাগরির যেসব শেয়ার আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ এর মধ্যে ডিমেট করতে ব্যর্থ হবে তাদের ১ অক্টোবর, ২০১০ থেকে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হবে- এ মর্মে এসইসি এক নির্দেশনা জারি করে।

 ২১ নভেম্বর : এসইসি এই মর্মে এক নির্দেশনা জারি করে, মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকার তাদের গ্রাহকদের ১ঃ০.৫ অনুপাতে ঋণ দেবে এবং বি/ও একাউন্ট খোলার পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঋণ সুবিধা পাবে না।

৩০ নভেম্বর : বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে, এসইসি এক নির্দেশনার মাধ্যমে ১৪টি সিকিউরিটিজ লেনদেনের জন্য স্পট মার্কেটে পাঠায়।
 
১৩ ডিসেম্বর : এসইসি মার্চেন্ট ব্যাংক স্টক ব্রোকার গ্রাহকদের ১:১ অনুপাতে ঋণ দেবে বলে নির্দেশনা জারি করে।

১৯ ডিসেম্বর : এসইসি গ্রামীণফোন ও ম্যারিকোর সিকিউরিটিজ পাবলিক মার্কেটে লেনদেন করার জন্য সুদীর্ঘ ১০ মাস পর এক নির্দেশনা জারি করে। একইসঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ও মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহকদের ১ঃ১.৫ অনুপাতে ঋণ দেবে- এই মর্মে এসইসি আরেকটি নির্দেশনা জারি করে।

২৯ ডিসেম্বর : মিউচুয়াল ফান্ডের মার্জিন লোনের ক্ষেত্রে এনভি ফর্মুলা তুলে দেয়। একইসঙ্গে এসইসি ঘোষণা দেয়, সাধারণ শেয়ারের মতোই মিউচুয়াল ফান্ড মার্জিন লোন সুবিধা পাবে।    

বাংলাদেশ সময় : ১২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad