ঢাকা: অর্থবাজারে তারল্য সংকট (নগদ অর্থ সংকট) নিরসনে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে রেপোর মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কলমানির সুদের হার অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত তথ্য জমাদানের সময়সীমা ১৫ জানুয়ারি থেকে বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকারের এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী এবং এসইসির পক্ষে চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এ সময় জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘পুঁজিবাজার ঠিক রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। এর অংশ হিসেবে বাজারে অর্থ সরবরাহ বাড়াতে রেপোর মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ’
এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকার বলেন, ‘পুঁজিবাজারের একমাত্র নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এসইসি হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের সহযোগিতা করে থাকে। আমরা আজ বর্তমান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজারের দরপতনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। কমিটি গঠন করা হতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০