ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে ৭৪৮ কোটি টাকা

এসএম গোলাম সামদানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১০
ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে ৭৪৮ কোটি টাকা

ঢাকা: পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত থাকায় ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই)-তে গড় লেনদেন কমেছে ৭৪৮ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহের (১২ থেকে ১৫ ডিসেম্বর) ৪ কার্য দিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই-তে মাত্র ৬ হাজার ২৮৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

এ সময় গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল মাত্র ১ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা।

অন্যদিকে এর আগের সপ্তাহে (৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর) ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ১২ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। ওই সময়ে গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩২০ কোটি টাকা।

অর্থাৎ গড় লেনদেন কমেছে ৭৪৮ কোটি টাকার।
 
গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব খাতের শেয়ারের বড় ধরনের দরপতন হওয়ায় বাজার মূলধন ও সাধারণ সূচক উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।

গত সপ্তাহের প্রথম কার্য দিবস গত রোববার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। কিন্তু বড় ধরনের দরপতনের কারণে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বুধবার তা কমে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকায় নেমে আসে।

ফলে মাত্র ৪ কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১২ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। অন্যদিকে এ সময়ে সাধারণ মূল্যসূচক কমে যায় প্রায় ৩৭৬ পয়েন্ট।
      
এসবের পেছনে বাজার বিশ্লেষকরা অবশ্য বাংলাদেশ বাংকের নির্দেশনাকেই দায়ী করছেন।

একইসঙ্গে গত কয়েক মাস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বাজারে মূল্য সংশোধন হওয়াটাও জরুরি ছিল বলে অভিমত প্রকাশ করেন।

তবে গত দু’ সপ্তাহের কোনও কোনও দিন একদিনে ২ শ‘র বেশি সূচক কমে যাওয়াকে অস্বাভাবিক বলেও মন্তব্য করেন তারা।
 
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ১৫ ডিসেম্বর থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে দৈনিক জমার হার (সিআরআর ও এসএলআর) আগের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে।

এতে করে ব্যাংকগুলোকে আগের তুলনায় ২ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত জমা দিতে হচ্ছে।

এছাড়াও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগক করা অতিরিক্ত অর্থ তুলে আনার নির্দেশ রয়েছে। এ কারণে বাজারে আর্থিক লেনদেন কমে গেছে।  

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ওসমান ইমাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা কারণে ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজার থেকে অতিরিক্ত অর্থ তুলে নিচ্ছে। আর এ কারণে বাজারে লেনদেন কমে গেছে। ’

সেইসঙ্গে বাজারে নগদ অর্থের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমছে বলেও জানান তিনি।

এ দরপতন ডিসম্ভর মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।