ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বেড়েছে চাল, পেয়াঁজ ও শাকসবজির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১০
দাম বেড়েছে চাল, পেয়াঁজ ও শাকসবজির

ঢাকা: অন্যান্য সময় বাজারে আমন মৌসুমের নতুন চাল উঠতে শুরু করলে দাম কমে। তবে এবার দাম আরও বেড়েছে।

নতুন মোটা ও পোলাউ চালের দাম কিছুটা কম হলেও মাঝারি ধরণের চালের দামে কেজি প্রতি বেড়েছে এক থেকে দেড় টাকা।

এছাড়া বাজারে দাম বেড়েছে পেয়াঁজের। বাজারে ভরপুর শীতের শাকসবজির দেখা মিললেও গত দুই দিনে দাম বেড়েছে। বোতলজাত তেল সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হলেও খোলা তেল সর্বোচ্চ খুচরা ৯২ টাকা লিটার পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বাজার ভেদে। অন্যান্য পন্যের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে স্থীতিশীল রয়েছে।

শুক্রবার বাজার ঘুরে জানা গেছে, বাজারে নতুন চাল আসতে শুরু করেছে দু’সপ্তাহ আগ থেকে। নতুল চাল আসার শুরুতে প্রথম দুয়েকদিন  দাম কিছুটা কম থাকলেও এখন পুরাতন চালের চেয়ে এক থেকে দেড় টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন নাজির (উত্তম মানের) বিক্রি হয়েছে ২৩২৫-২৩৫০ টাকা বস্তা (৫০ কেজি)। সে হিসেবে ৪৭ টাকা দাম পড়ে পাইকারী বাজারে।

পুরাতন এ চালের কেজি প্রতি পাইকারী দাম ছিল ৪৫ টাকা। একই অবস্থা মাঝারি ধরণের অন্যান্য চালের। মিনিকেট (উত্তম মানের) ৫০ টাকা কেজি দরে খুচড়া বাজারে কেজি বিক্রি হচ্ছে। পুরাতর এ চালের দাম ছিল ৪৮ টাকা কেজি।

মিনিকেট মোটা বিক্রি হচ্ছে ৪৪  টাকা দরে যা আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৩ টাকা। স্বর্ণা (পারি) আগে ৩৮ টাকা হলেও শুক্রবার ৩৯ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। বিআর ২৮-২৯ (মোটা) বাজারে ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পোলউ চাল খুচরা বাজারে ৭৫ টাকা কেজি হলেও নতুন চাল ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাটারি ভোগ পুরাতন ৬২ টাকা আর নতুন ৬০ টাকা কেজি।

নতুন চাল বাজারে আসলে দাম কমবে বলে ধারাণা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এর জন্য পুরাতন চাল দ্রুত বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে জানালেন কারওয়ান বাজারের চাটখিল রাইস এজেন্সির বিক্রেতা মো. বিল্লাল।

তিনি জানান, এবারই নতুন চালের দামের ক্ষেত্রে বিপরীত ছিত্র দেখা যাচ্ছে। দাম কেন বাড়তি এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দাম বাড়তি নিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের সঙ্গে ঝগড়া করতে হয়। মোকামে জিজ্ঞেস করলে বলে ধানের দাম বাড়তি। ’

এদিকে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ আটার। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও শুক্রবার সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। খোলা আটার দাম কেজি প্রতি দুই টাকা বেড়ে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ।

বোতলজাত তেল সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটারের বোতল সর্বোচ্চ ৪৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর খোলা সয়াবিন তেল  ৮৬ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে। তবে কোথাও কোথাও ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে দেখা গেছে।

রসুনের দাম কিছুটা কমেছে। রসুন ইন্ডিয়ান ১২০ টাকা কেজি।

প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৪ টাকায়। বয়লার মুরগি ১২০ টাকা ও লেয়ার ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস ২৬০,  খাশির মাংস ৩৮০ থেকে ৪০০ ও খাসির মাংস ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আলু ছাড়া সব সবজির দামই বাড়তি। তবে বাজার ভেদে সবজির দামে কিছুটা তারতম্যও লক্ষ্য করা গেছে। কাঁচামরিচ কোথাও ৩০ কোথাও ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন লম্বা ৩০ ও গোল ৪০, পটল ৩০ , ঢেঁড়স ৪০, করলা ৫০, কচুর ছড়া ৫০, সিম ৩০, শশা ৩০ চিচিঙ্গা ৪০,  টমেটো ৫০, পেঁপে ১০, মুলা ১৫, গাজর ২৮, সীম ৩০ থেকে ৪০, আলু  পুরাতন ১৮, নতুন ২৫ ও দেশি নতুন ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

লাউ প্রতি পিছ ৫০ থেকে ৬০, ফুল কপি ২০ বাধা কপি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডেসেম্বর ১৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।