ঢাকা: বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে চলমান সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
এজন্য উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিসহ অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার আইএমএফ মিশনের দশ দিনব্যাপী ঢাকা সফর শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।
সফরকালে আইএমএফ প্রতিনিধিদল দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। ৮ সদস্য বিশিষ্ট এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেভিড কয়েন।
ডেভিড কয়েন বলেন, ‘আইএমএফ’র এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ)’র আওতায় আইএমএফ বাংলাদেশকে আগামী তিন বছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলার সুদবিহীন ঋণ দেবে। ’
বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনেদেনের ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি রোধে এ ঋণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় আইএফএফ’র বোর্ড সভায় এ ঋণ প্রস্তাব অনুমোদিত হবে।
দেশে বিদ্যমান মুদ্রাস্ফীতির উচ্চ হারের রাশ টেনে ধরতে ‘সংকোচনমূলক’ মুদ্রানীতি অনুসরণের পরামর্শ দিয়ে আইএমএফ মিশনপ্রধান বলেন, ‘একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের হার ১৮ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখতে পারলে ভালো। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি আরও শক্তিশালী করা দরকার। যাতে করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অবস্থার উন্নতি হয় এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করতে পারে। ’
এক প্রশ্নের জবাবে ডেভিড কয়েন বলেন, ‘যেসব ব্যাংক পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগ করেছে সেই অতিরিক্ত অর্থ ব্যাংকগুলো অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেবে বলে আইএমএফ আশাবাদী। ’
তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসইসি-কে কঠোর হতে হবে বলেও জানান তিনি।
আরেক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জ্বালানিমূল্য আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারণ করার উচিৎ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০