ঢাকা: আন্ত: ব্যাংকিং লেনদেনে(কলমানি মার্কেটে) সুদের হারে রেকর্ড হয়েছে বুধবার। এদিন সুদের হার ছিলো ১৫০ শতাংশ।
একদিনের ব্যবধানে সুদের হার প্রায় ৯০ শতাংশ বেড়েছে। সুদের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন ও ।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, কলমানি রেট এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুজিবাজারে অধিক হারে বিনিয়োগ করছে।
এসব প্রতিষ্ঠান অতি মুনাফার জন্যে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ না করে পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগ করে আসছে। এতে অনেক আগে থেকেই এসব প্রতিষ্ঠানে ডিপোজিটের সংকট ছিলো।
কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক সিআরআর এবং এসএলআর জমা রাখার পরিমাণ বাড়ানোর কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য-সংকট ( নগদ অর্থের সংকট) আরো তীব্র হয়।
পাশাপাশি কিছু কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মানি মার্কেট থেকে এখনো টাকা নিয়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছে। এতেও এসব প্রতিষ্ঠানে তারল্য-সংকট তীব্র হচ্ছে।
এদিকে কলমানি মাকের্টে নিয়ন্ত্রণ রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বুধবার প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে। এই ধারের বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রেখেছে।
কলমানি সুদের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানি মার্কেটে ব্যপক তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। আর এ সুযোগ গ্রহণ করছে কিছুসংখ্যক বেসরকারি ব্যাংক। তারা সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে কম সুদে টাকা নিয়ে উচ্চ হারে অন্য ব্যাংকগুলোকে ধার দিচ্ছে। এসব বিষয়ে এরই মধ্যে কয়েকটি ব্যাংককে চিহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এসব ব্যাংকগুলোকে কলমানি দেওয়া বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
কলমানি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল মানিটরিং ফান্ডের (আইএমএফ) বাংলাদেশে মিশনের প্রধান ডেভিড সোয়েন বলেন. কল মানির বর্তমার হার উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরো বেশি দিকনির্দেশণা দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০