ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

এসইসি’র দুটি বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো মনসুরকে

এসএম গোলাম সামদানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০
এসইসি’র দুটি বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো মনসুরকে

ঢাকা: অবশেষে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সার্ভেল্যান্স ও প্রশাসন বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের সিনিয়র সদস্য মনসুর আলমকে।

বুধবার এসইসি এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে।

১৯ ডিসেম্বর এটি কার্যকর হবে।

এ দু’টি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমিশনের অপর সদস্য মো. ইয়াসিনকে।

এসইসির একাধিক ঊর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে এসইসির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসা মনসুর অলমের সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হয়, যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আর এসব কারণেই তাকে ওই দুই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর এসইসির সিনিয়র সদস্য মনসুর আলম চেয়ারম্যানের অনুমোদন ছাড়াই চেক ও নেটিং সংক্রান্ত বিষয়ে দুইটি বিতর্কিত নির্দেশনা জারি করেন। নির্দেশনা ২টি জারির কারণে ৮ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে এ যাবৎকালে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে বিপর্যয়কর দরনের দরপতন ঘটে।   অবস্থা এমনই দাঁড়ায় যে,  এর প্রতিবাদে প্রতিবাদে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনের রাস্তায় নেমে  সে ব্যাপক বিক্ষোভ ভাংচুর শুরু করেন। পরিস্থিতি এক পর্যায়ে র‌্যাব-পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই দিনই ওইদিনই নির্দেশনা দু’টি বাতিল করা হয়।

এত কিছু ঘটে যাওয়ার পর এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকার জানতে পারেন তার অনুমোদন না নিয়েই  মনসুর আলম বিপর্যয়কর নির্দেশনা ২টি জারি করেছেন।   এই কারণে মনসুর আলমকে ওইদিনই ( ৮ ডিসেম্বরে) শোকজ করা হয়।  

অন্যদিকে গত ১২ ডিসেম্বর রোববার সৈয়দ শফিকুল আলম নামে এক বিনিয়োগকারী হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। যেখানে উল্লেখ করা হয়, এসইসি সদস্য মনসুর আলম ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর চেক নগদায়ন ও নেটিং সুবিধা সংক্রান্ত দু’টি নির্দেশনা জারি করেন। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ২০(এ) ধারা অনুযায়ী শুধু কমিশনকে নির্দেশনা জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ৫ সদস্যের কমিশনের সংখ্যগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নির্দেশনা জারি করা যায়। এককভাবে মনসুর আলমস কোনো নির্দেশনা জারি করতে পারেন না।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিনই বিচারপতি এএইচএম শামসউদ্দীন চৌধুরী মানিক এবং বিচারপতি জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে এ রুল জারি করেন।

একইসঙ্গে আদালত কমিশনের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ছাড়া চেক নগদায়ন ও নেটিং সংক্রান্ত দু’টি নির্দেশনা জারির কারণে এসইসি সদস্য মনসুর আলমে কেন তার পদে বহাল থাকার অযোগ্য ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হবে না- এ মর্মে অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad