ঢাকা: বাংলাদেশের চিংড়ি রপ্তানিতে ‘নাইট্রো ফুরান’ জটিলতার অবসান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস।
বুধবার সচিবালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বাংলাদেশের চিংড়িতে নাইট্রো ফুরান উপস্থিতির বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী মার্চে ইইউ’র প্রতিনিধি দল বাংলদেশে সফরের পর চিংড়ি রপ্তানিতে নাইট্রো ফুরান সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হবে। ’
উল্লেখ্য, বাংলদেশের চিংড়িতে নাইট্রো ফুবানের উপস্থিতির কারণে ইইউ’র আপত্তির মুখে গত বছরের নভেম্বর থেকে চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ।
এর ৬ মাস পর চলতি বছরের মে মাস থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে চিংড়ি রপ্তানি শুরু হয়। তবে বাংলাদেশের চিংড়ির ২০ শতাংশ তারা পুনঃপরীক্ষা করে নেয়।
বাংলাদেশে চিংড়িতে নাইট্রো ফুরানের উপস্থিতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়ামের আন্তর্জাতিক মানের দু’টি গবেষণাগারের নাইট্রো ফুরানের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।
ওই পরীক্ষায় চিংড়ির খোসায় নাইট্রো ফুরান ধরা পড়লেও তা ক্ষতিকর নয় বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকদের মতামতকে চিংড়ি আমদানিকারক দেশগুলো ইতিবাচকভাবে নিয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলদেশে চিংড়ি রপ্তানির কালো মেঘ কেটে গেছে। ’
তিনি জানান, আগামী মার্চে ইইউ’র প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে। তারা চিংড়ি নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। তাদের সফরের পর ২০ শতাংশের পুনর্পরীক্ষাও বন্ধ হবে বলে আশা করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গত চার মাসে চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা।
বাংলদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০