ঢাকা: কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর সংবিধিবদ্ধ নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ তারল্যসম্পদ সংরক্ষণের (এসএলআর) বর্ধিত নতুন হার বুধবার থেকে কার্যকর হচ্ছে।
বর্ধিত হার অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে দৈনিক ভিত্তিতে সাড়ে ৫ শতাংশ ও দ্বি-পাক্ষিক ভিত্তিতে ৬ শতাংশ হারে সিআরআর এবং ১৯ শতাংশ হারে এসএলআর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পর্যন্ত ব্যাংকগুলো যথাক্রমে পাঁচ শতাংশ ও সাড়ে পাঁচ শতাংশ হারে সিআরআর এবং সাড়ে ১৮ শতাংশ হারে এসএলআর জমা দিয়ে আসছিল। ইসলামী ব্যাংকগুলো এসএলআরের হার ছিল সাড়ে ১০ শতাংশ।
গত ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক সিআরআর ও এসএলআর বাড়ানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং ওইদিন-ই তা ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়ে দেয়।
মূলতঃ মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের ব্যাংকগুলোর জন্য প্রচলিত এই দুই ধরনের জমার হার বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো থেকে প্রতিদিন অন্ততঃ দুই হাজার কোটি টাকা চলে যাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। যার প্রভাবে বাজারে সার্বিকভাবে মুদ্রা সরবরাহ খানিকটা কমে যাবে এবং ঋণ বিতরণ ও শেয়ারবাজারে অর্থপ্রবাহে খানিকটা ভাটা পড়বে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রসঙ্গত সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং খাতে অর্থের চাহিদা বেড়েছে। গত অক্টোবর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতে উদ্বৃত্ত তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। যা গত জুনে ছিল ৩৪ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থের চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির গড় হার গত সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১২ শতাংশ।
এদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে Ñ এ নিয়ে ব্যাংকিং মহলে দ্বি-মত রয়েছে। পাশাপাশি তারা বলছেন, আন্ত:ব্যাংক মুদ্রাবাজারে অর্থের চাহিদা এই মুহুর্তে খানিকটা বেশি। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ মোতাবেক বর্ধিত হারে সিআরআর ও এসএলআর রাখতে গিয়ে গ্রাহকদের প্রাত্যহিক চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোকে মুদ্রাবাজারের শরণাপন্ন হতে হবে। এর ফলে কলমানি সুদের হার বাড়বে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৯০৭ ঘন্টা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১০