ঢাকা: মার্জিন ঋণের হার বাড়ানোর পর দ্বিতীয় দিনের মতো চাঙাভাবে দিন শেষ করলো ঢাকার পুঁজিবাজার। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এসইসি) সোমবার থেকে মার্জিন ঋণের হার বাড়িয়ে ১:১ করে। সোমবারই এটি কার্যকর হয়েছে।
মঙ্গলবার দিনের শুরুতে সূচক বেশ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠলেও শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকেনি। দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ডিএসইতে সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৭০ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৪৯৯ পয়েন্টে উন্নীত হয়। ওই সময় লেনদেন হওয়া ২৩৩ কোম্পানির মধ্যে ২১৭টির দাম বেড়ে যায়। তবে দিনশেষে সাধারণ সূচক গতকালের চেয়ে মাত্র ২৫ দশমিক ৭২ পয়েট বেড়ে ৮ হাজার ৩৫৪ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে দাড়ায়।
টানা কয়েক দিন নিম্নমুখী থাকার পর এদিন ডিএসইতে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া প্রায় সব মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে। তবে সিরামিকস, বীমা, প্রকৌশল খাতের শেয়ারের দাম ছিল মিশ্র।
এদিন ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়া প্রসঙ্গে জাফর, ফারুক ও সাজ্জাদ নামের নামের কয়েকজন বিনিয়োগকারী বাংলানিউজকে জানান, টানা কয়েক দিন বাজার নিম্নমুখী থাকায় বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী লোকসানে রয়েছেন। সোমবার এসইসি মার্জিন লোন বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর বিনিয়োগকারীদের কিছুটা ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে গেছে। এতে করে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী নতুন করে শেয়ার কিনে আগের কেনা শেয়ারের সঙ্গে তা সমন্বয় করে নিচ্ছেন। আর এই কারণেই বাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়েছে মঙ্গলবারের প্রথম ১ ঘণ্টা।
মঙ্গলবার দিনশেষে লেনদেন হওয়া ২৪৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৮টি কোম্পানির এবং কমেছে ১০২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৫৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। এটি আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৮৮ কোটি টাকা কম।
বাজারের এই অবস্থাকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, ‘বাজার বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। ২০/৩০ বাড়া-কমা বাজারের জন্য মঙ্গলজনক। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১০