ঢাক : আন্তঃব্যাকিং লেনদেনে (কলমানি) সুদের হার সোমবার ছিল সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ। এটি এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে কলমানির সুদের হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে একাধিক নির্দেশনা দিয়েছে।
কিছু কিছু ব্যাংক অতি মুনাফা লাভের জন্য সুযোগ বুঝে উচ্চহারে (আন্তঃব্যাংকিংয়ে) টাকা ধার দিচ্ছে। কলমানি মার্কেটে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকার ফলেই একাধিক ব্যাংক এ সুযোগ নিচ্ছে। এতে কলমানির সুদের হার বাড়ছে বলেও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর এ প্রবণতা ত্যাগ করা উচিত। কারণ এতে ব্যাংকিং খাতে আতংঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে। ’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার কলমানির সর্বোচ্চ সুদের হার ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন ছিল প্রায় ৮ শতাংশ। কিন্তু এর আগের দিন রোববার আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন মানি মার্কেটের লেনদেনের সুদের হার ছিল সর্বোচ্চ ৩৫ এবং সর্বনিম্ন ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। এক দিনের ব্যবধানে কলমানির সুদের হার প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। সুদের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনও বাড়ছে।
সোমবার প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে মানি মার্কেটে। এর আগের দিন প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর সিআরআর ও এসএলআর জমা বাড়ানোর লক্ষ্যে একাধিক ব্যাংক পল্লা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করছে। কারণ ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা জমা দিতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ব্যাংকেই পর্যাপ্ত নগদ অর্থ নেই। কারণ পুঁজিবাজার বা অন্য খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত সুদে নগদ অর্থ আদায় সংগ্রহ করছে একাধিক ব্যাংক। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে কলমানির সুদের হার বাড়ছে।
এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সিআরআর ও এসএলআর জমার পরিমান বাড়ানোর ফলেই কলমানির সুদের হার বেড়েছে। এছাড়া ডিসেম্বর মাস হওয়ায় ব্যাংকগুলো অধিক ডিপোজিট দেখানোর জন্যও উচ্চ সুদে নগদ অর্থ সংগ্রহ করছে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারেও বিনিয়োগ করছে। মোটকথা বাজারে নগদ টাকার ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণেই কলমানির সুদের হার বাড়ছে। ’
বাংলাদেশ সময় : ২১৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১০