ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার কোটি টাকা

এসএম গোলাম সামদানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১০
গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার কোটি টাকা

ঢাকা: বড় ধরনের দরপতনের কারণে গত সপ্তাহে (৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধনকমেছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। বাজার বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।



সপ্তাহের শুরুতে ৫ ডিসেম্বর রোববার ডিএসইর বাজারমূলধন ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা হলেও সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তা ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪০ কোটি টাকায় নেমে আসে। মাত্র এক  সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৮ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার বেশ চাঙ্গা থাকলেও সপ্তাহের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ কার্যদিবসে বড় ধরনের দরপতন হয়। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার আবার বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। গত সপ্তাহের অধিকাংশ সময়ে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বড় ধরনের দরতন হয়। আর এই কারণে বাজারমূলধন সাধারণ সূচক উল্লেখযোগ্যহারে কমে যায়।
 
প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৮ হাজার ৮৩৮ দশমিক ১০ পয়েন্ট থাকলেও সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তা ৮ হাজার ৫৮০ দশমিক ২০ পয়েন্ট নেমে আসে। মাত্র এক সপ্তাহে সাধারণ মূল্য সূচক কমেছে ২৫২ পয়েন্ট। একই সময়ে আর্থিক ও শেয়ার লেনদেনও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
 
পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে ১১ হাজার ৬০৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ সময় গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৬৭ কোটি টাকা কম। আগের সপ্তাহে (২৮নভেম্বর ২ ডিসেম্বর) ডিএসইতে লেনদেন হয় ১২ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। ওই সময়ে গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা।

তবে গত সপ্তাহে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার কারণে বাজারমূলধন ও সূচক কমে যাওয়াকে স্বাভাবিক বলেই দেখছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, টানা কয়েক সপ্তাহ পুঁজিবাজার উর্ধমুখি থাকার কারণে শেয়ারবাজার অনেকটা লাগামহীন হয়ে পড়ে।
এ মুর্হুতে বাজারমূল্য কারেকশন হওয়া জরুরি ছিল বলে মত দিয়ে বিশ্লেষকরা বলেন, স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ীই বাজারে কিছুটা মূল্য কারেকশন হয়েছে। এটা আরো কিছুদিন হলে বাজারে ঝুঁকি কমে আসবে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।
 
বাজারের দরপতন সর্ম্পকে ডিএসইর সাবেক সহ-সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। ’
 
অন্যদিকে ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাজারে মূল্য সংশোধন হওয়া জরুরি ছিল। তবে যে হারে শেয়ারের দাম গত কয়েক মাস ধরে বেড়েছে সে তুলনায় বাজার এখনো অনেক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের সাবধানে লেনদেন করতে হবে। ’

বাংলাদেশ সময় ১৩৫৫ ঘন্টা ১১ ডিসেম্বর  ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।