ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

জিএমজির ছয়টি উড়োজাহাজের তিনটিই বিকল, বিপর্যয়ে ফ্লাইট শিডিউল

ইশতিয়াক হুসাইন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১০
জিএমজির ছয়টি উড়োজাহাজের তিনটিই বিকল, বিপর্যয়ে ফ্লাইট শিডিউল

ঢাকা: উড়োজাহাজ সঙ্কটে ভুগছে বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা জিএমজি এয়ারলাইন্স। সংস্থার ছয়টি উড়োজাহাজের তিনটিই অচল।

এ অবস্থায় ফ্লাইট শিডিউলেও সৃষ্টি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। যাত্রীদেরও তাই পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।

জিএমজির হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন আসিফ আহমেদ অবশ্য জানিয়েছেন, এ অবস্থা বেশিদিন থাকবে না।

‘সবগুলো উড়োজাহাজ অপারেশনাল (চালু) হলে ফ্লাইট শিডিউলে কোনও সমস্যা থাকবে না’ উল্লেখ করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুরোপুরি অপারেশনে যাওয়ার কথা জানালেন তিনি ।

সূত্র জানিয়েছে, জিএমজি এয়ারলাইন্সের বহরে এখন ছয়টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে একটি বোয়িং ৭৬৭ এবং দুটি এমডি-৮০ বিমান চালু রয়েছে। এ তিন উড়োজাহাজ দিয়ে আটটি রুট চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে জিএমজি। ড্যাশ-৮ মডেলের একটি উড়োজাহাজ দু’বছরের বেশি সময় ধরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে পড়ে আছে। আরেকটি ড্যাশ-৮ নেদারল্যান্ডে রয়েছে সি-চেকের অপেক্ষায়। ইন্দোনেশিয়ার গারুদা এয়ারলাইন্সে বড় ধরনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে অপর উড়োজাহাজ এমডি-৮০’র।

আসিফ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘১৫ দিনের মধ্যে এমডি-৮০ উড়োজাহাজটি চলে আসবে। এছাড়া, ড্যাশ-৮ মডেলের উড়োজাহাজটিও আগামী দু’দিনের মধ্যে ঢাকা আসবে। এ দুটি উড়োজাহাজ চালু হলে তখন আর ফাইট শিডিউলে সমস্যা থাকবে না। ’

তিনি জানান, অপর উড়োজাহাজটি সি-চেকে পাঠানোর পর কর্তৃপক্ষ ইন্টেরিয়র ডিজাইনসহ কিছু পরিবর্তন ও পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে ওই উড়োজাহাজটির আসতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। ’

উল্লেখ্য, চালু থাকা তিনটি উড়োজাহাজ দিয়ে ঢাকা-ব্যাংকক, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কাঠমান্ডু, ঢাকা-করাচি, ঢাকা-জেদ্দা, ঢাকা-রিয়াদ, ঢাকা-আবুধাবিসহ আটটি রুটে যাত্রী পরিবহন করায় ফাইড শিডিউলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।

আসিফ আহমেদ জানান, দু’টি বিমান ঠিক হয়ে এলে এ অবস্থা কেটে যাবে। একইসঙ্গে বন্ধ থাকা ঢাকা-দিল্লী ও ঢাকা-কলকাতা রুটে যাত্রী পরিবহনও শুরু হবে।

১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত জিএমজি এয়ারলাইন্স ১৯৯৮ সালের ৬ এপ্রিল অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পরিবহন শুরু করে। ২০০৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটে ফাইট চালুর মাধ্যমে প্রথম আন্তর্জাতিক পরিম-লে পা রাখে তারা। এরপর একে একে তাদের রুট সংখ্যা বাড়তে থাকে।

এক পর্যায়ে সেবার মান কমতে থাকে। ফ্লাইট শিডিউল অনিয়মিত হয়ে পড়ে। যাত্রীরা জিএমজি এয়ারলাইন্স থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এভাবে রুট কমতে কমতে এক সময় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। প্রায় দেউলিয়া হয়ে পড়া জিএমজি এয়ারলাইন্সকে রক্ষা করতে দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপ এগিয়ে আসে।

২০০৯ সালে উল্লেখযোগ্য শেয়ার কিনে জিএমজি এয়ারলাইন্সকে নতুনভাবে যাত্রা শুরুর উদ্যোগ নেয় এ শিল্পগোষ্ঠী। চলতি বছরের মে মাসে পুনর্যাত্রা হয় এ বিমান সংস্থাটির। তবে উড়োজাহাজ সঙ্কটে আবারও বিপর্যয়ের মুখে পড়ে জিএমজি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ০১ ডিসেম্বর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।