ঢাকা: মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাস্টমস সার্ভিস চালু হচ্ছে। সার্ভিসটি চালু হলে কাস্টমস কর্মকর্তারা ট্রেনের মধ্যেই আমদানি শুল্ক আদায় করবেন।
দুই দেশে চলাচলকারী ট্রেনযাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে ট্রেনে কাস্টমস সার্ভিস চালুর প্রস্তাব দেয় ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশ। দুই দেশই সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি বিচার-বিশ্লেষণ করে একমত হয়। খুব শিগগিরই সার্ভিসটি চালু হতে পারে বলে জানায় রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
কাস্টমস সার্ভিস সম্পর্কে রেলওয়ের উপ-পরিচালক শিরিনা দেলহুর বাংলানিউজকে বলেন, ‘যাত্রীদের ভালো সেবা দিতেই উদ্যোগটি নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে যাত্রীদের কাছ থেকে আমদানি শুল্ক আদায়ে ভোগান্তি কমে যাবে।
রেলওয়ে জানায়, উভয় দেশের সরকারই যাত্রীসেবার মান বাড়াতে আগ্রহী। কারণ, সেবার মান বাড়াতে না পারলে যাত্রীসংখ্যা দিন দিন কমতে থাকবে। তাই দুই দেশ এখন ট্রেনের যাত্রী বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েও ভাবছে।
মৈত্রী ট্রেন সপ্তাহে দুই দিন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে কোলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। থামে কোলকাতার চিৎপুর স্টেশনে। এ ট্রেনে ঢাকা থেকে কোলকাতা যেতে সময় লাগে ১৩ ঘণ্টা।
কাস্টমস সার্ভিস চালু হলে ঢাকার যাত্রীরা এক ঘণ্টা আগেই কোলকাতা পৌঁছাতে পারবেন। কোলকাতা থেকে ঢাকায় আসতেও সময় বাঁচবে এক ঘণ্টা।
প্রত্যেক রবি ও মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা থেকে মৈত্রী ট্রেন ছাড়ে। কোলকাতার চিৎপুর স্টেশনে পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে।
অপর দিকে শনি ও বুধবার কোলকাতার চিৎপুর স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে আসে ঢাকার উদ্দেশ্যে। ঢাকায় পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬টায়।
অন্যান্য পরিবহনের তুলনায় ঢাকা-কোলকাতার ট্রেন ভাড়াও অনেকটাই কম। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কেবিনের ভাড়া ২৩ ডলার। অপর দিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কারের ভাড়া ১৪ ডলার। নন-এসি চেয়ার কারের ভাড়া ৮ ডলার।
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাফ টিকিটে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০