ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কর কার্ড আসছে: বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত অগ্রাধিকার পাবে- অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১০

ঢাকা : আগামী বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে আবারো প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পাশাপাশি তিনি জানান, রাজস্ব আয় বাড়াতে ট্যাক্স কার্ড প্রবর্তন ও আয়কর রিটার্ন দাখিল আরো সহজ করা হবে।

পাশাপাশি আয়কর জুডিশিয়াল গঠন ও আয়কর অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হবে। বর্তমানে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইনেরও সংস্কার করা হচ্ছে। কর আরোপে সম্পদের মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায়ও পরিবর্তন আনা হবে।
 
আজ শনিবার দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে এফবিসিসিআই আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী কর্ণেল (অব) ফারুক খান ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এএইচএম মোস্তফা কামাল। এফবিসিসিআই সভাপতি আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড.এবিএম মির্জা আজিজুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

সভায় এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি সংক্রান্ত ২০ দফা, আয়কর সংক্রান্ত ১৯ দফা, আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত ৫ দফা ও মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত ১১ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশমালার মধ্যে রয়েছে- গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কয়লা উত্তোলন ও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন, ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলে ভর্তুকী প্রদান, অবকাঠামো উন্নয়নে তহবিল গঠন, পিপিপি’র আওতায় দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ, যানজট মুক্ত করা ও বিকল্প হিসেবে রেল যোগাযোগ  উন্নয়ন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, ভূমি ব্যবস্থাপনার সংস্কার, ব্যাংকের সুদের হার হ্রাস, রাষ্ট্রীয় অপচয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসান হ্রাস, রুগ্ন শিল্পের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রদান, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, ব্যক্তিগত আয়কর সীমা বাড়ানো, রাজস্ব আয় বাড়াতে এ খাতের সংস্কার ও করের আওতা বাড়ানোর প্রস্তাব।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ও এডিপি’র আকার আরো বাড়ানো হবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, আগামী বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং এডিপি ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের পুঁজিবাজারবান্ধব পদক্ষেপের কারণেই এখন তা আরো বিকশিত হয়েছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে এ খাত থেকে রাজস্ব আয় আরো বাড়াতে হবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।