ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

১১০ হাজার মে.টন চাল ও গম কিনবে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১০

ঢাকা: সরকার ৬০ হাজার মেট্রিক টন গম ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কিনবে।

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সোমবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।



এছাড়া পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পে পুনর্বাসন সংক্রান্ত ৪ টি ভৌত-অবকাঠামো নির্মাণ এবং সড়ক মেরামতের প্রস্তাবও সভায় অনুমোদন করা হয়।

কমিটির আহবায়ক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. আব্দুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৬০ হাজার মেট্রিক টন গম ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। প্রতি মেট্রিক টন ২১৪ দশমিক ৯০ মার্কিন ডলার দামে গম ক্রয়ে খরচ হবে ৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ২২ হাজার ৭০০ টাকা। মেসার্স দেশবন্ধু গ্রুপ লিমিটেড গম কেনার জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

এছাড়া প্রতি মেট্রিক টন ৩৬৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার দামে চাল কিনতে লাগবে মোট ১২৮ কোটি ৫৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। থাইল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফিনিক্স কমডিটি প্রাইভেট লিমিটেড চাল কেনার কাজ পেয়েছে।

সভায় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পে শরীয়তপুর, মাদারীপুর এবং মুন্সীগঞ্জে চারটি পুনর্বাসন অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

মুন্সীগঞ্জে দুইটি পুনর্বাসন অবকাঠামো নির্মাণে এমআরএম-এআরকে জেভি এবং খান অ্যান্ড সন্স বাংলাদেশ লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে। এতে খরচ পড়বে যথাক্রমে ১৬ কোটি ৮৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৬ টাকা এবং ২০ কোটি ৬১ লাখ ১১ হাজার ৪০২ টাকা।

শরীয়তপুরের জাজিরায় এবং মাদারীপুরের শিবচরে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ পেয়েছে এমইসি অ্যান্ড পিএনএল কনসোর্টিয়াম। এতে খরচ পড়বে যথাক্রমে ২২ কোটি ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৭ টাকা এবং ২৩ কোটি ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৪১১ টাকা।

এছাড়া ২০০৯-১০ অর্থবছরে পিরিওডিক মেইটটেন্যান্সের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪৫১.২৫৭ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের প্রস্তাবটিও বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে। মেরামতে খরচ পড়বে ১৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৯ হাজার ৪৭ টাকা।

অন্যদিকে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় কুয়েত, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়া থেকে মোট ১২ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।

পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান।

এছাড়া অন-লাইন ব্যাংকিং পদ্ধতিতে মোটরযানের কর ও ফি আদায়ের প্রস্তাবটি অর্থ বিভাগে আলোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশের স্থানীয় সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।