ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ত্রিপুরা সফরকে বাণিজ্য মিশন হিসেবেই দেখছেন ব্যবসায়ীরা

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১০
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ত্রিপুরা সফরকে বাণিজ্য মিশন হিসেবেই দেখছেন ব্যবসায়ীরা

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির দুইদিনের ত্রিপুরা সফরকে বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধির ‘মিশন’ হিসেবেই বিবেচনা করছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।

আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে অবকাঠামোসহ সড়ক যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে সমাধানের পথ খোঁজাও এ সফরের উদ্দেশ্য হতে পারে বলেই সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অভিমত।



পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার সকালে সড়ক পথে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় পৌঁছাবেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ৩০ সদস্যের এক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল থাকছে। এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাতলুব আহমাদ।

সফর সম্পর্কে আলাপকালে মাতলুব আহমাদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দীর্ঘদিন ধরেই আমরা চেষ্টা চালিয়ে আসছি। ’

তিনি বলেন, ‘ভারতের এই রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে শুল্ক ও অশুল্ক কিছু বাধা রয়েছে। রাজধানী নয়াদিল্লিতেই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধগুলো তৈরি হয়। ’

মাতলুব আহমদ বলেন, ‘অক্টোবরে বাণিজ্যমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর প্রক্রিয়া সহজীকরণ নিয়ে কথা হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ত্রিপুরা সফরেও বাণিজ্যকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ’

ত্রিপুরায় বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ওপর মহাজোট সরকারও বিশেষ নজর দিয়েছে।

এ ব্যাপারে মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার রাতে এ ব্যাপারে বৈঠক হয়েছে। সেখানে ত্রিপুরা সফরে বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদলের আগ্রহ ও আলোচনার এজেন্ডা নিয়ে সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পণ্য ত্রিপুরায় রপ্তানির ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে আরও উদার হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। ’

মাতলুব আহমাদ জানান, ‘বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে তৈরি পোশাক, কসমেটিকস, মাছ, পাট, সাবান, জুস, মসলা, ইট, সিমেন্ট, পিভিসি পাইপ, সিআই শিট, এমএস রড প্রভৃতি পণ্য ত্রিপুরায় রপ্তানি হয়। ’

তিনি জানান, ‘ওই রাজ্যটিতে পোল্ট্রি পণ্য, শাক-সবজি, সিরামিক ও মেলামাইন পণ্য, স্যানিটারি পণ্য, রান্নাঘরের তৈজসপত্রসহ প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ’

এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অণুবিভাগের মহাপরিচালক মাশফি বিনতে শামস বাংলানিউজকে বলেন, ‘ত্রিপুরার সঙ্গে বাণিজ্য  ক্ষেত্রে রাস্তাসহ অবকাঠামো একটি বড় সমস্যা। ’

তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় সড়ক ও যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে আলোচনাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। ’

প্রতিবেশী এই ভারতীয় রাজ্যটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ানো এবং ট্রান্সশিপমেন্ট ইস্যুও আলোচনায় স্থান পাবে।

মহাপরিচালক মাশফি বলেন, ‘ত্রিপুরার ব্যবসায়ী নেতারাও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এসময় তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সমস্যা ও সমাধানের উপায় নিয়েও কথা বলবেন। ’

বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতা মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘ত্রিপুরার ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গেও তারা আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।