ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‘কৃষকদের ব্যাংকহিসাবগুলো চালু রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বদ্ধপরিকর। এজন্য এগুলোকে সঞ্চয়ী হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
গভর্নর বলেন, ‘হিসাবগুলো সচল রাখার জন্য সরকারও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃষকদের জন্য বরাদ্দ সরকারি সব ভর্তুকি ও কৃষিঋণ এখন থেকে এসব হিসাবের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এছাড়া রেমিটেন্সও আসবে এগুলোর মাধ্যমে। এতে করে এসব হিসাবের কার্যকারিতাও বাড়বে। ’
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা যেন এসব হিসাবে টাকা সঞ্চয় করতে উৎসাহী হয় সেজন্য শহর এলাকার চেয়ে এসব অঞ্চলে সঞ্চয়ের উপর এক শতাংশ বেশি সুদ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এখন সারাদেশে ব্যাংক হিসাবধারী কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারি। অন্যদের মধ্যে পিকেএসেফের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেসবাহউদ্দিন আহমেদও বক্তৃতা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী।
ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার জন্য গঠিত মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে কাজের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকায় অবর্তীণ হতে হবে। ’
প্রতিষ্ঠানটির জনবল সঙ্কট ও অস্বায়ত্তশাসিত ব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পরিচালনা বোর্ডকে আরও শক্তিশালী করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পাশাপাশি কার্যক্রম পরিচালনায় আরও স্বচ্ছতা আনতে এনজিওগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ০৯ নভেম্বর, ২০১০