রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির মাধ্যমে কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য তিউনিশিয়া থেকে ২৫ হাজার মে. টন ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সার এবং মরক্কো থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার আমদানি করা হবে। এ জন্য সরকারের মোট ব্যয় হবে ৫৬৭ কোটি ৮৩ লাখ ৪ হাজার ৮২০ টাকা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান অবস্থান করায় সেখান থেকে ভার্চুয়ালি সভায় সভাপতিত্ব করেন।
তিউনিশিয়া থেকে টিএসপি সার
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় তিউনিশিয়া থেকে তৃতীয় লটে ২৫ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করা হবে। ইতোমধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল পুনরায় নবায়ন করা হয়।
চুক্তিতে নির্ধারিত মূল্য অনুসারে এই লটের ব্যয় হবে ১ কোটি ৫০ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮৪ কোটি ৬৬ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন টিএসপি সারের দাম পড়ছে ৬০২.৫০ মার্কিন ডলার।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে টিএসপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪.২৫ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে তিউনিশিয়া থেকে আসবে ১ লাখ মেট্রিক টন।
মরক্কো থেকে ডিএপি সার
একই সভায় মরক্কো থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তৃতীয় লটে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। বিএডিসি এ বিষয়ে মরক্কোর সঙ্গে পূর্বের চুক্তি নবায়ন করে চলতি বছরের ২ জুলাই।
চুক্তি অনুযায়ী এ লটের জন্য ব্যয় হবে ৩ কোটি ১২ লাখ ৫৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৮৩ কোটি ১৬ লাখ ৪২ হাজার ৩২০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম পড়ছে ৭৮১.৩৩ মার্কিন ডলার।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিএপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ৮.৮১ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে মরক্কো থেকে আসবে ২.৮১ লাখ মেট্রিক টন।
এনডি/এমজে