ঢাকা: পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ পোশাকখাতের জন্য একটি পৃথক সেল গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার বিজিএমইএ নেতারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে দেখা করে তারা এ দাবি জানান।
বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাকখাত ও দেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য পৃথক সেল গঠন জরুরি বলে বিজিএমইএ নেতার মন্তব্য করেন।
এছাড়া বিজিএমইএ নেতারা ভারতে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা বাড়িয়ে তৈরিপোশাক পণ্যের ‘৮ মিলিয়ন পিস কোটা’র পরিমাণ বৃদ্ধি এবং সাফটার নেগেটিভ লিষ্ট থেকে পোশাক পণ্য কমিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।
সোমবার বিজিএমইএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে দণি আফ্রিকা, ব্রাজিল ও মেক্সিকোতে রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের বিষয়ে পদপে গ্রহণ, ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশের দূতাবাস ও কমার্শিয়াল উইং স্থাপন, বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামে সহযোগিতা করার জন্য দীপু মনিকে অনুরোধ জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী’র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল তৈরি পোশাকখাতে যৌথ অথবা শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়ার বিরোধীতা করেন।
আগামী ১লা জানুয়ারি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওয়ান স্টেজ জিএসপি রুলস অব অরিজিন শিথিল করতে যাচ্ছে। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের তৈরিপোশাক শিল্পের বাজার সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।
তৈরিপোশাক খাতে শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধীতার যুক্তি হিসাবে নেতারা বলেন, গত তিন দশকে স্থানীয় উদ্যোক্তারা অনেক প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে পোশাকশিল্পকে বর্তমান পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। এখন কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান এখাতে বিনিয়োগ করে তার সুফল ভোগ করবেন তা কোনভাবেই কাম্য নয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিজিএমইএ’র দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), ফারুক হাসান, সিদ্দিকুর রহমান এবং পরিচালক আরশাদ জামাল (দিপু)।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ঘণ্টা ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১০