ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশের পোল্ট্রি খাত কর্পোরেট কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে: বিপিএ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:০৫, এপ্রিল ২, ২০২৫
দেশের পোল্ট্রি খাত কর্পোরেট কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে: বিপিএ 

ঢাকা: দেশের পোল্ট্রি খাত বড় কর্পোরেট কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজেদের মুনাফা নিশ্চিত করছে বলে মনে করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।  

সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, কর্পোরেট গ্রুপগুলো ঈদের আগে বাচ্চার দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যা দেশের প্রান্তিক খামারিদের দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

বুধবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলেছেন, বর্তমানে প্রান্তিক খামারিরা মুরগি বিক্রি করছেন ১৫০-১৬০ টাকায়। অথচ তাদের উৎপাদন খরচ হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা। এতে প্রতিটি মুরগিতে তারা ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনছেন। এ ক্ষতি কতদিন বহন করা সম্ভব? সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, খামারিদের বিপর্যয় এখানেই শেষ নয়। বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিম্নমানের এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা বাচ্চাগুলো সহজেই ভাইরাসের শিকার হচ্ছে। যার ফলে মৃত্যুহার বাড়ছে। অধিকাংশ খামারির মুরগি মারা যাচ্ছে, যা তাদের লোকসানের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। একদিকে ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, অন্যদিকে ভাইরাসজনিত মৃত্যু—সব মিলিয়ে তারা অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন।

প্রান্তিক খামারিরা সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছেন উল্লেখ করে সুমন হাওলাদার বলেন, বড় কর্পোরেট কোম্পানিগুলো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজেদের মুনাফা নিশ্চিত করছে।  
অন্যদিকে, প্রান্তিক খামারিরা প্রতিনিয়ত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে খামারিরা ধীরে ধীরে উৎপাদন থেকে সরে যেতে বাধ্য হবেন। এর ফলে দেশের পোল্ট্রি খাত কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে এবং সাধারণ জনগণ উচ্চমূল্যে মাংস ও ডিম কিনতে বাধ্য হবে। এ পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান না হলে পোল্ট্রি খাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের বিদায় নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এমন অবস্থায় প্রান্তিক খামারিদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু দাবিও জানান তিনি।  

দাবিগুলো হচ্ছে- কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের অযৌক্তিক মুনাফা নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। প্রান্তিক খামারিদের জন্য বিশেষ ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে।  

পোল্ট্রি খাতে স্বাস্থ্যসেবা ও টিকাদান কর্মসূচির উন্নয়ন করতে হবে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।  


বাংলাদেশ সময়: ২৩০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৫
জিসিজি/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।