ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিবিএর ‘অনৈতিক কর্মকান্ডের’ বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ গভর্নরের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০
সিবিএর ‘অনৈতিক কর্মকান্ডের’ বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ গভর্নরের

ঢাকা: সিবিএ নেতা-কর্মীদের ‘অবৈধ কর্মকান্ড’ প্রতিরোধে কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শুরু করে তফসিলি ব্যাংকগুলোর সিবিএ নেতারা কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।



রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রশাসনের প্রতি এ নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মোঃ নজরুল হুদা, জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, নির্বাহী পরিচালক সুধীর চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।

গভর্নর বলেন, সিবিএ সংগঠন তৈরি হয়েছিল কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। কিন্তু কিছু সংখ্যক লোক এ সংগঠনটিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। ঘুষ ও দূর্নীতিসহ নানা ধরনের অবৈধ কাজের সাঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ব্যাংকিং খাতে যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাংকের প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন ড. আতিউর রহমান।
 
অভিযোগ রয়েছে, গত ১৯ আগষ্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিবিএ নেতা সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হকের নেতৃত্বে ৮/১০ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উপপরিচালক শাহিদার রহমানকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। নেতার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদা আদায়, দূর্নীতি, টেন্ডার, অবৈধ বদলি, ফাইল আটকানোসহ কয়েকটি অভিযোগ করায় তাকে মারধর করা হয়। এ গ্রুপটি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে।
 
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অনিয়ম ও দুর্নীতি করার অভিযোগ রয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা রয়েছে। কিন্তু গত ১৯ আগষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে সিবিএ নেতাদের হাতে একজন ডিডি লাঞ্ছিত হলেও ঘটনার প্রায় দুই মাস পরেও এর কোন বিচার হয়নি।
 
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালক সুধীর চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম যেদিন ঘটনা ঘটে এর প্রায় তিন থেকে চারদিন পর আমার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়। ডিডি শাহিদার রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের জেডি গোলাম মোস্তাফা এবং একাউন্টন্স এন্ড বাজেটিং বিভাগের ডিডি ওবায়দুল্লাহ চৌধুরীর সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

ওই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। এরপর আবার নতুন করে বিআরপিডি’র ডিজিএম জোয়ারদার ইসরাইল হোসেন এবং ইন্টারন্যাল অডিড বিভাগের ডিজিএম আবু তাহেরের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা রয়েছে। এ রিপোর্টের ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ সময় ২১৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।