ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কারওয়ান বাজারে ১০ গজের মধ্যেই সবজির দামে ফারাক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১০
কারওয়ান বাজারে ১০ গজের মধ্যেই সবজির দামে ফারাক

ঢাকা: রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাত্র ১০ গজ ব্যবধানে সবজির দামে কম করে হলেও কেজি প্রতি পাঁচ টাকা বাড়ে। আর এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে কাঁঠালবাগান ও হাতিরপুল বাজারে একই পণ্যের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

 

বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে কারওয়ান বাজারে কাঁচামরিচ ৮০ থেকে  ১০০ টাকা পাল্ল (৫ কেজি)। সে হিসাবে কাঁচামরিচের কেজিপ্রতি পাইকারি দর পড়ে ২০ টাকা।

কিন্তু একই বাজারে ১০ গজের ব্যবধানেই ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর কাঠাঁলবাগান বাজারে কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, হাতিরপুলে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে।

একই চিত্র দেখা গেছে করলা, বেগুন, সিম, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের শাক-সবজির ক্ষেত্রেও।

শীতের সবজি বাজারে অল্প পরিমান আসতে শুরু করলেও কিছু কিছু সবজির দাম চড়া।

বেগুন ৩০ থেকে ৪০, পটল ২৪ , ঢেঁড়স ৩৬, করলা ৪০, কচুর ছড়া ৪০, সিম ৬০, শশা ৪০, চিচিঙ্গা ৪০, আলু ২০, টমেটো ৮০ টাকা কেজি দরে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ৩০-৪০ টাকায় মিলছে একটি লাউ। এছাড়া ফুলকপি ১২-১৫ এবং বাঁধাকপি ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা আক্তার হোসেন জানান, পাইকরি বাজার থেকে কেজি প্রতি ৪/৫ টাকা বেশি দাম রাখা হয়।

কাচাঁবাজারে দাম এখন সকালে একরকম বিকালে আরেক রকম। লাভটা বেশি হচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে শুধু হাসলেন তিনি।

দামের এত পার্থক্য কেন? এরকম প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেননি কাঠাঁল বাগান বাজারের সবজি বিক্রেতা জসিম উদ্দিন।

তবে ভ্যানে সবজি বিক্রেতা মো. রনি একই প্রশ্নে জবাবে জানান, যেহেতু তারা অল্প পরিমান সবজি বিক্রি করেন, তাই একটু বেশি দামে বিক্রি না করলে পোষানো যায় না।

এদিকে আলু ছাড়া স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য নিত্য পণ্যের দাম। সবজির বাজার কিছুটা চড়া হলেও চাল, ডাল, আটা, তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

তবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র বৃহস্পতিবারের বাজার রিপোর্টে খুচরা বাজারে চাল (মোটা), পেঁয়াজ, রসুনের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১/২ টাকা কমেছে বলে দেখানো হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী চাল (মোটা)/ স্বর্ণা/ চায়না ইরি আজ বিক্রি হচ্ছে ৩১ থেকে ৩৩ টাকা দরে। একই চাল এক সপ্তাহ আগে ৩২ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পেঁয়াজ রকমভেদে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন রকমভেদে প্রতিকেজি ১৪০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

একমাস আগে তুলনায় এদিন মোটা চালের দাম ৩.০৩ শতাংশ কমেছে। রসুনের দাম কমেছে ৪.২৩ শতাংশ। তবে সে হিসাবে পেঁয়াজের দাম ১২.০৭ শতাংশ বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার খুচরা বাজারে মিনিকেট (চিকন) ৪৩ থেকে ৪৫ টাকায় এবং মিনিকেট (মোটা) ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাজির এক নম্বরটা বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়। তবে গলির দোকানে এ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া স্বর্ণা (পারি) ৩৫ থেকে ৩৮ টাকার মধ্যে, বিআর ২৮, ২৯ (মোটা) ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দুই কেজি ওজনের প্যাকেট ‘তীর’ ও ‘এসিআই’ আটা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি দরে। তবে কোথাও কোথাও ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে দেখা গেছে।

পেঁয়াজ দেশি এবং ভারতীয় ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। রসুন ভারতীয় ১৫০ টাকা কেজি ও দেশি ২শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডাল আগের দরেই অর্থাৎ মোটা ৯০, দেশি ১০০ ও ক্যাঙ্গারু ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

‘তীর’ সয়াবিনের পাঁচ লিটারের বোতল ৪৫৪ টাকা ও ‘রূপচাঁদা’ ৪৯৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৮, সুপার পাম ৮৪ ও পাম ৮৩ টাকায় পাইকরী বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তবে গলির দোকানগুলোতে ৯৫, ৯০ ও ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। মুরগির দাম কিছুটা কমতির দিকে। ব্রয়লার মুরগি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার ভেদে গরুর মাংস ২৫০ থেকে ২৭০ ও খাশির মাংস ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময় ১৭৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।