ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

গার্মেন্টেসের ব্যাপারে এনজিওদের না জড়ানোর পরামর্শ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১০

ঢাকা: দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি মহল গার্মেন্টস শ্রমিকদের ব্যবহার করছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে তাদের সরে আসার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইসরাফিল আলম।

একই সঙ্গে তিনি এনজিওকে গার্মেন্টসের কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসকাব অডিটোরিয়ামে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য মজুরি ন্যূনতম ৫ হাজার টাকা নির্ধারণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজিত জাতীয় কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

ইসরাফিল আলম শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকার যখন শ্রমিকদের কল্যাণে ন্যূনতম মজুরি কাঠামো নির্ধারণের চেষ্টা করছে, তখন একটি মহল জ্বালাও-পোড়াও সংস্কৃতির মাধ্যমে সরকার ও শ্রমিকদের মুখোমুখি করার পাঁয়তারা করছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে আপনারা বিরত থাকুন। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করবেন না। ’
 
স্বার্থানেস্বী মহলকে সর্তক করে দেওয়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের সর্তক হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন,‘ আপনারা নিজেরাই নিজেদের দাবি আদায়ে ভিন্ন ভিন্ন মতে অনড়। নিজেরা একমত হয়ে একটা দাবি নিয়ে আসুন। আমরা চেষ্টা করবো আপনাদের দাবি বাস্তবায়নের। মজুরি পুর্নগঠনের আগে জ্বালাও-পোড়াও ভাল কিছু বয়ে আনবে না। ’

উল্লেখ্য, আগামী ২৭ জুলাই গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়কারী ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এ দাবি যৌক্তিক। ’ তিনি ইন্ড্রাস্ট্র্রিয়াল পুলিশের সমালোচনা করে বলেন ‘এটা গার্মেন্টস মালিকের হাতিয়ারে পরিণত হবে। ’

বাংলাদেশ শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ১০টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠন জাতীয় কনভেনশনের আয়োজন করে। ন্যূনতম ৫ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণসহ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার, শ্রমিক স্বার্থবিরোধি কালো আইন বাতিল, পুর্ণাঙ্গ রেশন ব্যাবস্থা ও ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পুলিশ বাদ দেওয়ার দাবিতে এ কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। ঢাকা ও আশপাশের গার্মেন্টস জোন থেকে আসা শত শত শ্রমিক তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গার্মেন্টস নেতারা জানান, ‘চোখের সামনে গার্মেন্টস মালিকরা কোটিপতি থেকে শত কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন। অথচ আমরা পরিণত হচ্ছি গরিব থেকে ভিুকে। ’ তারা শ্রম আইন ও আইএলও কনভেনশনের পুরোপুরি বাস্তবায়নের দাবি জানান।

শ্রমিকদের দাবি পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য নেতারা ৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামী ৯, ১১, ১৫, ১৬ ও ২৩ জুলাই মুক্তাঙ্গনসহ মিরপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন ও ২৫ জুলাই মুক্তাঙ্গনে প্রতীকী অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ২৭ জুলাই ঘোষিত মজুরি কাঠামোতে দাবির প্রতিফলন না পেলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান নেতারা।

বাংলাদেশ শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়কারী সালাউদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে কনভেনশনে আরও অংশ নেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।