ঢাকা: চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম তিন (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি আয় হয়েছে। এ সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ৫০৩ কোটি ডলার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৪৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল প্রায় ৩৮৭ কোটি ডলার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আলোচ্য সময়ে রপ্তানির সবচেয়ে বৃহত্তম খাত নিটওয়্যার খাতে ২১৮ কোটি ১২ লাখ ডলার ও ওভেন গার্মেন্ট খাতে ১৭৯ কোটি ডলার আয় হয়েছে। যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ৩১.৯১ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ বেশি।
এছাড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে হিমায়িত মৎস্য খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ১৪ কোটি ২৬ লাখ ডলার (প্রবৃদ্ধি ৩৫.২৯ শতাংশ), চিংড়ি রপ্তানি খাতে আয় হয়েছে ১২ কোটি ১৯ লাখ ডলার (প্রবৃদ্ধি ৪১.৯২ শতাংশ), হোম টেক্সটাইল খাতে ১২ কোটি ৫২ লাখ ডলার (প্রবৃদ্ধি ৬৩.৯২ শতাংশ), জুট ইয়ার্ণ অ্যান্ড টুইন খাতে ১০ কোটি ১৫ লাখ (প্রবৃদ্ধি ৪৩.৫৩ শতাংশ), চামড়া খাতে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার (প্রবৃদ্ধি ৪২.২৪ শতাংশ), চামড়া খাতে ১ কোটি ২৬ লাখ ডলার (প্রবৃদ্ধি ২১.১৩ শতাংশ), কাঁচা পাট খাতে ৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার (প্রবৃদ্ধি ৫৩.৮৩ শতাংশ), ফুট ওয়্যার খাতে ৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলার (প্রবৃদ্ধি ৩৬.৩০ শতাংশ), সিরামিক পণ্য খাতে ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার (প্রবৃদ্ধি ১৯.৪৯ শতাংশ), হস্তশিল্প পণ্য খাতে ১১ লাখ ডলার (প্রবৃদ্ধি ২০.৬৫ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল খাতে ২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার (প্রবৃদ্ধির হার ১১.২০) রপ্তানি আয় হয়েছে।
প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে স্টেইনলেস স্টিল রপ্তানি খাতে। আলোচ্য খাতে রপ্তানি হয়েছে ৪৩১.৮২ শতাংশ।
অন্যদিকে যেসব খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এরমধ্যে চা রপ্তানি খাতে ৫৩.৭৫ শতাংশ, গ্লাস অ্যান্ড গ্লাসওয়্যার খাতে ৬৯.১৬ শতাংশ, ভেসেলস খাতে ৫১.১১ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৪৯.৫৯ শতাংশ, কম্পিউটার সার্ভিস খাতে ৪৫.১১ শতাংশ, রাসায়নিক সার খাতে ৪২.৬৩ শতাংশ, কাঠ ও কাঠের তৈরি পণ্য খাতে ৪৪.১৯ শতাংশ, কসমেটিক্স ৪২.৮৬ শতাংশ, ফার্মাসিউটিক্যালস ১৮.৮৯ শতাংশ ও ফার্নিচার খাতে ১১.৮৪ শতাংশ রপ্তানি কমেছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫৫ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬ , ২০১০