ঢাকা: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ বলেছেন, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। এ জন্য সৎ ও সাহসী হতে হবে ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের।
শনিবার ‘শিল্পঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি: রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ এ কথা বলেন।
‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ’ (আইবিএফবি) আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট ব্যাংকার খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ। সংগঠনের সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক বাণিজ্য সচিব সোহেল আহমেদ, ড. মীজানুর রহমান শেলী প্রমুখ।
অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ বলেন, ‘শুধু সরকারি ব্যাংকগুলোতেই নয়, বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও দুর্নীতি হচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতকে তার নিজস্ব নিয়মে চলতে দিতে হবে। সুদ মওকুফ করার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের। ’
খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান পদে ও পরিচালনা পর্ষদে অদক্ষ লোক নিয়োগ, সাধারণ নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম, বেতন বৈষম্য, ট্রেড ইউনিয়নের হস্তক্ষেপ- এগুলোই দুর্নীতির মূল কারণ। ’
ব্যাংকগুলোর সার্ভিস রুলে পরিবর্তন ও তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলোর লোকসান কমিয়ে আনতে সরকারের হাতে ন্যূনতম ২৫ শতাংশ শেয়ার রেখে বাকিটা পুঁজিবাজারে ছেড়ে দিতে হবে। ’
সাবেক বাণিজ্য সচিব সোহেল আহমেদ বলেন, ‘তদবিরই দুর্নীতির মূল কারণ। ’
তিনি বলেন, ‘শুধু সিবিএ সংগঠনগুলো নয়, অফিসার্স ওয়েলফেয়ার নামে ব্যাংকগুলোতে যেসব সংগঠন আছে এরাও নানাভাবে কাজে হস্তক্ষেপ করে। ’
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর দুর্নীতির কথা কম-বেশি সবাই জানে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকগুলোর দুর্নীতির খবরও প্রকাশ পাওয়া উচিত। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৭৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১০